ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বুধবারের মধ্যে না মানলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বুধবারের মধ্যে না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ।

বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষকরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায়ে সরকার থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ব্লকেড করতে যাত্রা শুরু করেছে শিক্ষকরা।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে শিক্ষকরা৷

এসময় ‘দাবি মোদের যৌক্তিক, ২০ পার্সেন্ট বাড়িভাড়া চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষকরা।

এর আগে দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, বাড়িভাড়া ২০ শতাংশের একটুও কম হবে না। চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৪৯৯ টাকা হলেও হবে না, ১৫০০ টাকা করতে হবে। আর কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশই দিতে হবে। না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ ১৫ অক্টোবর বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

Lll

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময় এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

তিনি বলেন, আজকের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টায় লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করবো। প্রশাসনকে বলবো, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করেছি, আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, আগামীকাল দাখিল পরীক্ষা আছে। আমাদের দাবি না মানা হলে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই চলবে না।

এর আগে এদিন দুপুরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। প্রায় চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলো। অবরোধ তুলে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ শহীদ মিনারে ফিরে যান আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
ঢাকার শাহবাগ মোড়ে দুপুরটা ছিল অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। স্কুল-কলেজের ক্লাস ফাঁকা, রাস্তায় থেমে থাকা বাস, পুলিশের সতর্ক অবস্থান সব মিলিয়ে এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ। বেলা গড়াতেই আন্দোলনরত শিক্ষকরা নামলেন রাস্তায়, দখল করে নিলেন শাহবাগ মোড়। দাবি-দাওয়া জানাতে শুরু হলো স্লোগান, ব্যানার হাতে শিক্ষকদের সারি যেন এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিচ্ছবি।

উত্তাল দুপুর, শিক্ষকদের ব্লকেডে থেমে গেল শহরের হৃদস্পন্দন

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আজকের কর্মসূচি সেই দাবিগুলোরই অংশ।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষক বললেন, আমরা ক্লাসরুমে নীরব থেকেও দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি করি। অথচ নিজেদের ন্যায্য অধিকার পেতে আজ আমাদের রাস্তায় আসতে হয়েছে-এটাই সবচেয়ে কষ্টের।

উত্তাল দুপুর, শিক্ষকদের ব্লকেডে থেমে গেল শহরের হৃদস্পন্দন

শিক্ষকদের ব্লকেডে শাহবাগ হয়ে রমনা, এলিফ্যান্ট রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে থাকা লোকজন কেউ বিরক্ত, কেউ আবার দাঁড়িয়ে দেখছেন ব্যানার হাতে স্লোগান দেওয়া শিক্ষকদের দৃঢ় মুখগুলো।

পুলিশ রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও জলকামানও মোতায়েন করা হয় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।

তবে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এবং পুলিশের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকুক। শিক্ষকদের দাবির বিষয় সরকার দেখবে, আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছি।

রোদে পুড়ে, ধুলোয় ঢাকা ক্লান্ত মুখগুলোতেও আছে স্পষ্ট প্রতিজ্ঞা, আমরা কথা না শোনা পর্যন্ত রাস্তায় থাকব। কেউ স্লোগান দিচ্ছেন, কেউ চুপচাপ বসে আছেন ব্যানার হাতে। শিক্ষক সমাজের আন্দোলন কোনো একক শ্রেণির প্রতিবাদ নয়; এটি শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক সংকটের প্রতিফলন। পাঠদান যখন পেশার চেয়ে দায়বদ্ধতা, তখন সেই পেশাজীবীরা যখন রাস্তায় নামেন, সেটি এক গভীর বার্তা বহন করে, শিক্ষাব্যবস্থা যদি টিকে থাকতে চায়, তবে শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করতেই হবে।

Kkk

সূর্য ঢলে পড়েছে, তবুও শাহবাগের বাতাসে স্লোগানের প্রতিধ্বনি। পুলিশ এখনো সতর্ক, শিক্ষকরাও অবস্থান ধরে রেখেছেন। কেউ বলেন, এই আন্দোলন কেবল বেতন বা সুবিধার নয়; এটি মর্যাদা ও স্বীকৃতির লড়াই। আজকের শাহবাগ যেন সেই লড়াইয়ের প্রতীক- যেখানে ব্লকেড শুধু সড়কে নয়, জমে থাকা বছরের পর বছরের অবহেলাকেও থামিয়ে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বুধবারের মধ্যে না মানলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ

আপডেট সময় : ০২:২৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বুধবারের মধ্যে না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ।

বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষকরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায়ে সরকার থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ব্লকেড করতে যাত্রা শুরু করেছে শিক্ষকরা।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে শিক্ষকরা৷

এসময় ‘দাবি মোদের যৌক্তিক, ২০ পার্সেন্ট বাড়িভাড়া চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষকরা।

এর আগে দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, বাড়িভাড়া ২০ শতাংশের একটুও কম হবে না। চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৪৯৯ টাকা হলেও হবে না, ১৫০০ টাকা করতে হবে। আর কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশই দিতে হবে। না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ ১৫ অক্টোবর বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

Lll

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময় এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

তিনি বলেন, আজকের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আমরা আগামীকাল দুপুর ১২টায় লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করবো। প্রশাসনকে বলবো, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করেছি, আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, আগামীকাল দাখিল পরীক্ষা আছে। আমাদের দাবি না মানা হলে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই চলবে না।

এর আগে এদিন দুপুরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। প্রায় চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হলো। অবরোধ তুলে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ শহীদ মিনারে ফিরে যান আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
ঢাকার শাহবাগ মোড়ে দুপুরটা ছিল অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। স্কুল-কলেজের ক্লাস ফাঁকা, রাস্তায় থেমে থাকা বাস, পুলিশের সতর্ক অবস্থান সব মিলিয়ে এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ। বেলা গড়াতেই আন্দোলনরত শিক্ষকরা নামলেন রাস্তায়, দখল করে নিলেন শাহবাগ মোড়। দাবি-দাওয়া জানাতে শুরু হলো স্লোগান, ব্যানার হাতে শিক্ষকদের সারি যেন এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিচ্ছবি।

উত্তাল দুপুর, শিক্ষকদের ব্লকেডে থেমে গেল শহরের হৃদস্পন্দন

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আজকের কর্মসূচি সেই দাবিগুলোরই অংশ।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষক বললেন, আমরা ক্লাসরুমে নীরব থেকেও দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি করি। অথচ নিজেদের ন্যায্য অধিকার পেতে আজ আমাদের রাস্তায় আসতে হয়েছে-এটাই সবচেয়ে কষ্টের।

উত্তাল দুপুর, শিক্ষকদের ব্লকেডে থেমে গেল শহরের হৃদস্পন্দন

শিক্ষকদের ব্লকেডে শাহবাগ হয়ে রমনা, এলিফ্যান্ট রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে থাকা লোকজন কেউ বিরক্ত, কেউ আবার দাঁড়িয়ে দেখছেন ব্যানার হাতে স্লোগান দেওয়া শিক্ষকদের দৃঢ় মুখগুলো।

পুলিশ রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও জলকামানও মোতায়েন করা হয় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।

তবে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এবং পুলিশের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকুক। শিক্ষকদের দাবির বিষয় সরকার দেখবে, আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছি।

রোদে পুড়ে, ধুলোয় ঢাকা ক্লান্ত মুখগুলোতেও আছে স্পষ্ট প্রতিজ্ঞা, আমরা কথা না শোনা পর্যন্ত রাস্তায় থাকব। কেউ স্লোগান দিচ্ছেন, কেউ চুপচাপ বসে আছেন ব্যানার হাতে। শিক্ষক সমাজের আন্দোলন কোনো একক শ্রেণির প্রতিবাদ নয়; এটি শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক সংকটের প্রতিফলন। পাঠদান যখন পেশার চেয়ে দায়বদ্ধতা, তখন সেই পেশাজীবীরা যখন রাস্তায় নামেন, সেটি এক গভীর বার্তা বহন করে, শিক্ষাব্যবস্থা যদি টিকে থাকতে চায়, তবে শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করতেই হবে।

Kkk

সূর্য ঢলে পড়েছে, তবুও শাহবাগের বাতাসে স্লোগানের প্রতিধ্বনি। পুলিশ এখনো সতর্ক, শিক্ষকরাও অবস্থান ধরে রেখেছেন। কেউ বলেন, এই আন্দোলন কেবল বেতন বা সুবিধার নয়; এটি মর্যাদা ও স্বীকৃতির লড়াই। আজকের শাহবাগ যেন সেই লড়াইয়ের প্রতীক- যেখানে ব্লকেড শুধু সড়কে নয়, জমে থাকা বছরের পর বছরের অবহেলাকেও থামিয়ে দিয়েছে।