ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বটিয়াঘাটা সুরখালী ইউনিয়নের সুখদাড়ায় মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আমির এজাজ খান নাসিরনগরে মোটরসাইকেল অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত – ২ খুলনা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ২১ দিনব্যাপী ট্রেনিং এর শুভ উদ্বোধন। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের লক্ষ্যে আজ জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম সভা। সব স্কুল ও কলেজে স্কাউট ও রোভার স্কাউট কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাত নির্দেশনা। মাদরাসা শিক্ষা যুগোপযোগী, সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে দাখিল এবং আলিম স্তরে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা! কৃতজ্ঞতা নিন, জাতীয়করণ দিন। নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। চট্টগ্রামে গভীর রাতে আ. লীগের মিছিল, আটক ১৮। নদীতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু।

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা! কৃতজ্ঞতা নিন, জাতীয়করণ দিন।

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা! কৃতজ্ঞতা নিন, জাতীয়করণ দিন।

আবিষ্কারকের কৃতজ্ঞতায় ভরপুর একটি কলামে পড়েছিলাম, “আমি যখন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাই তখন-ই টমাস আলভা এডিসনকে দেখতে পাই। বীজগণিতের পাতায় পাতায় আল-খোওয়ারিজমিকে খুঁজে পাই। বিমানের উড্ডয়ন দেখ-লেই ‘আব্বাস ইবনে ফিরনাস’ আর ‘রাইট ব্রাদার্স’ এর কথা মনে পড়ে যায়। যখন কম্পিউটারে বসি তখন-ই সম্মান জানাই ‘চ্যার্লস ব্যাবেজ’ এর প্রতি।”
 আমার এক ঘনিষ্টজন বলল- “যাদেরকে তুমি কখনো দেখনি  তাদের প্রতি কেন সম্মাণ জানাও? কেনইবা বিশ্বাস করো? এমন কেউ ছিল কখনো?” আমি তাকে বললাম- “একটি বাতি অন্ধকার ঘরকে  আলোকিত করল, তুমি সে আলোয় সব দেখলে অথচ সেই বাতির স্রষ্টাকে দেখলে না। বাতির আলো তোমার বাহ্যদৃষ্টি দান করেছে ঠিকই কিন্তু সে আলো অন্তর পর্যন্ত পৌঁছেনি।”
আমাদের এডুকেশন সেক্টরে যে সমস্ত শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ বসে আছেন তাঁরা কোননা কোন শিক্ষকের সন্তান বা ছাত্র । তাঁরা শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করেছে কিন্তু সে আলো হৃদয়ে ধারন করেনি।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনি যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোন বাংলাদেশীকে দেখতে পান, যখন কোন বাংলাদেশী বিশ্ব অঙ্গনে স্থান দখল করে, যখন কোন বাংলাদেশী বিশ্বসেরা খেলোয়াড়,  প্রগ্রামার, বিজ্ঞানী, গবেষক হয় তখন কি আপনার মান মর্যাদা উজ্জল হয় না? এর মুলে কি এই শিক্ষক সমাজ না? তাহলে আর অবহেলা নয়। যদি এই ৯৭% শিক্ষক সমাজের অবদান থাকে তাহলে  একযোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  অনতিবিলম্বে জাতীয়করণ করুন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা !  লক্ষ লক্ষ শিক্ষক বছরের পর বছর অভুক্ত আছেন। কেউ বিনা বেতনে অবসর নিয়েছেন। কেউ কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় ইন্তেকাল করেছেন। কেউ এমপিও ভুক্তি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, মানবাধিকারের চরম সীমা লংঘিত হয়েছে। তাই আপনি দক্ষতার সাথে অনতিবিলম্বে শিক্ষক সমাজের চাহিদাগুলি পুরণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা! কৃতজ্ঞতা নিন, জাতীয়করণ দিন।

আপডেট সময় : ০৩:২১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা! কৃতজ্ঞতা নিন, জাতীয়করণ দিন।

আবিষ্কারকের কৃতজ্ঞতায় ভরপুর একটি কলামে পড়েছিলাম, “আমি যখন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাই তখন-ই টমাস আলভা এডিসনকে দেখতে পাই। বীজগণিতের পাতায় পাতায় আল-খোওয়ারিজমিকে খুঁজে পাই। বিমানের উড্ডয়ন দেখ-লেই ‘আব্বাস ইবনে ফিরনাস’ আর ‘রাইট ব্রাদার্স’ এর কথা মনে পড়ে যায়। যখন কম্পিউটারে বসি তখন-ই সম্মান জানাই ‘চ্যার্লস ব্যাবেজ’ এর প্রতি।”
 আমার এক ঘনিষ্টজন বলল- “যাদেরকে তুমি কখনো দেখনি  তাদের প্রতি কেন সম্মাণ জানাও? কেনইবা বিশ্বাস করো? এমন কেউ ছিল কখনো?” আমি তাকে বললাম- “একটি বাতি অন্ধকার ঘরকে  আলোকিত করল, তুমি সে আলোয় সব দেখলে অথচ সেই বাতির স্রষ্টাকে দেখলে না। বাতির আলো তোমার বাহ্যদৃষ্টি দান করেছে ঠিকই কিন্তু সে আলো অন্তর পর্যন্ত পৌঁছেনি।”
আমাদের এডুকেশন সেক্টরে যে সমস্ত শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ বসে আছেন তাঁরা কোননা কোন শিক্ষকের সন্তান বা ছাত্র । তাঁরা শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করেছে কিন্তু সে আলো হৃদয়ে ধারন করেনি।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনি যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোন বাংলাদেশীকে দেখতে পান, যখন কোন বাংলাদেশী বিশ্ব অঙ্গনে স্থান দখল করে, যখন কোন বাংলাদেশী বিশ্বসেরা খেলোয়াড়,  প্রগ্রামার, বিজ্ঞানী, গবেষক হয় তখন কি আপনার মান মর্যাদা উজ্জল হয় না? এর মুলে কি এই শিক্ষক সমাজ না? তাহলে আর অবহেলা নয়। যদি এই ৯৭% শিক্ষক সমাজের অবদান থাকে তাহলে  একযোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  অনতিবিলম্বে জাতীয়করণ করুন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা !  লক্ষ লক্ষ শিক্ষক বছরের পর বছর অভুক্ত আছেন। কেউ বিনা বেতনে অবসর নিয়েছেন। কেউ কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় ইন্তেকাল করেছেন। কেউ এমপিও ভুক্তি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শিক্ষকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, মানবাধিকারের চরম সীমা লংঘিত হয়েছে। তাই আপনি দক্ষতার সাথে অনতিবিলম্বে শিক্ষক সমাজের চাহিদাগুলি পুরণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।