ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ভারী বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত। বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ, এবার শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন দেখতে পাবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ। আমার শিক্ষা ভাবনা: ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম  সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সকালে সমিতিপাড়ার সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় চবির আরেক শিক্ষার্থী আসিফের মরদেহ। পবিত্র হজ শেষে ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন হাজি দেশে ফিরেছেন, ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন।  ক্ষতিকর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে বন্ধ। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে ছাত্রদল নেতা নিহত, পুরুষ শূন্য গ্রাম। প্রায় ৪ বছর পর শপথ নিলেন ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া।

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে। একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এমন সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তার আগে, ১৫ জুলাই অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির নিয়মিত কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে থাকা ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদের মধ্যে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, কোন ১০টি সিম তারা রাখতে চান।

সিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব নম্বর থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহৃত হয় এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে, অনেক গ্রাহককে নিজেদের অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে বাধ্য হতে হবে, আর অপারেটরদেরও নিতে হবে প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ।

বিটিআরসি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি হালনাগাদ করা হলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। তবে সম্প্রতি সিম জালিয়াতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সীমা আরও কমিয়ে আনা হলো।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অপারেটরদের মাধ্যমে আগাম প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে।

এদিকে, গত ২৪ জুন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় আরও কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে একইসঙ্গে এক বছর পরপর সিম নবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে এ বিষয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, একজন ব্যক্তির নামে বেশি সংখ্যক সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় সেগুলো নানা ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও অবৈধ তদবিরে সিম ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে—বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে উপদেষ্টাদের নাম ব্যবহার করে তদবির, আবার জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে, আর ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহক। ফলে, নতুন সীমা বাস্তবায়ন করা গেলে বেশিরভাগ গ্রাহকের ওপর এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে। একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এমন সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তার আগে, ১৫ জুলাই অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির নিয়মিত কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে থাকা ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদের মধ্যে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, কোন ১০টি সিম তারা রাখতে চান।

সিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব নম্বর থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহৃত হয় এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে, অনেক গ্রাহককে নিজেদের অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে বাধ্য হতে হবে, আর অপারেটরদেরও নিতে হবে প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ।

বিটিআরসি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি হালনাগাদ করা হলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। তবে সম্প্রতি সিম জালিয়াতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সীমা আরও কমিয়ে আনা হলো।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অপারেটরদের মাধ্যমে আগাম প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে।

এদিকে, গত ২৪ জুন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় আরও কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে একইসঙ্গে এক বছর পরপর সিম নবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে এ বিষয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, একজন ব্যক্তির নামে বেশি সংখ্যক সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় সেগুলো নানা ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও অবৈধ তদবিরে সিম ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে—বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে উপদেষ্টাদের নাম ব্যবহার করে তদবির, আবার জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে, আর ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহক। ফলে, নতুন সীমা বাস্তবায়ন করা গেলে বেশিরভাগ গ্রাহকের ওপর এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।