ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ। ফজলুল কাদের চৌধুীর ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ: আ’মলের তাৎপর্য (১) বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জয় দিয়ে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর । আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা। ম্যাক্স সিক্সটি টুর্নামেন্টে মিয়ামি ব্লেজের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান । সবজি হিসেবে কাঁকরোলের উপকারিতা ও এর বৈশিষ্ট্যগুণ। চলছে যাচাই-বাছাই, খুব শিগগির শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। জামালপুরে বিয়ারা পলাশতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আন্তঃহাউজ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত। নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ভাইরাল, থানায় মামলা।

চলছে যাচাই-বাছাই, খুব শিগগির শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ২৪০ বার পড়া হয়েছে

চলছে যাচাই-বাছাই, খুব শিগগির শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

 চলছে যাচাই-বাছাই শেষে খুব শিগগির চূড়ান্তভাবে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ তথ্য জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।

এ এম এম রিজওয়ানুল হক জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবার নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এবার আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করেছেন প্রার্থীরা। এজন্য সুপারিশের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করতে বেশি সময় লাগবে না। তবে দ্রুত সুপারিশ নিয়ে সুখবর দিলেও অনেক আবেদনকারী বাদ পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব রিজওয়ানুল হক।

সচিব বলেন, ‘পদ শূন্য থাকলেও অনেকে বাদ পড়বেন। কারণ কোনো সাবজেক্টে (বিষয়) হয়তো ১০০টি পদ ফাঁকা। সেখানে প্রার্থী ৩০০ জন। কিন্তু আমরা তো ১০০ জনের বেশি সুপারিশ করতে পারবো না। ফলে বাকি ২০০ জন বাদ পড়বেন। আবার অনেক সাবজেক্ট আছে, যেখানে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে আসনগুলো ফাঁকা পড়ে থাকবে।’

এনটিআরসিএ’র তথ্যমতে, গত ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করা হয়। ২২ জুন থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত ১০ জুলাই। তবে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।

এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, যদি সব প্রার্থীর আবেদন বৈধও হয়, তবুও ৪২ হাজার ৯৮২টি শিক্ষক পদ শূন্য থেকে যাবে। তাছাড়া আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা পরিপত্রে জানান প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম জমা না দেন, তবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন ছাড়া নিয়োগের সুযোগ থাকছে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম প্রাপ্তির পর তা সরাসরি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ অধিদপ্তরে পাঠাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে বিদ্যমান নিয়মে, এই ভেরিফিকেশন ফরম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সে পদ্ধতি আর অনুসরণ করা হবে না।

পরিপত্রের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আগের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে পাঠানোর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছিল। তাই এনটিআরসিএকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করে সময় কমানো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

চলছে যাচাই-বাছাই, খুব শিগগির শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

চলছে যাচাই-বাছাই, খুব শিগগির শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

 চলছে যাচাই-বাছাই শেষে খুব শিগগির চূড়ান্তভাবে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ তথ্য জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।

এ এম এম রিজওয়ানুল হক জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবার নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এবার আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করেছেন প্রার্থীরা। এজন্য সুপারিশের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করতে বেশি সময় লাগবে না। তবে দ্রুত সুপারিশ নিয়ে সুখবর দিলেও অনেক আবেদনকারী বাদ পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব রিজওয়ানুল হক।

সচিব বলেন, ‘পদ শূন্য থাকলেও অনেকে বাদ পড়বেন। কারণ কোনো সাবজেক্টে (বিষয়) হয়তো ১০০টি পদ ফাঁকা। সেখানে প্রার্থী ৩০০ জন। কিন্তু আমরা তো ১০০ জনের বেশি সুপারিশ করতে পারবো না। ফলে বাকি ২০০ জন বাদ পড়বেন। আবার অনেক সাবজেক্ট আছে, যেখানে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে আসনগুলো ফাঁকা পড়ে থাকবে।’

এনটিআরসিএ’র তথ্যমতে, গত ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করা হয়। ২২ জুন থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত ১০ জুলাই। তবে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।

এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, যদি সব প্রার্থীর আবেদন বৈধও হয়, তবুও ৪২ হাজার ৯৮২টি শিক্ষক পদ শূন্য থেকে যাবে। তাছাড়া আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের সই করা পরিপত্রে জানান প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থী যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম জমা না দেন, তবে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। অর্থাৎ ভেরিফিকেশন ছাড়া নিয়োগের সুযোগ থাকছে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিকট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম প্রাপ্তির পর তা সরাসরি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ অধিদপ্তরে পাঠাবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে কেউ পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ফরম দাখিল না করলে তাকে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’ এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে বিদ্যমান নিয়মে, এই ভেরিফিকেশন ফরম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সে পদ্ধতি আর অনুসরণ করা হবে না।

পরিপত্রের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারণ, আগের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে পাঠানোর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছিল। তাই এনটিআরসিএকে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করে সময় কমানো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।