শিক্ষক সমাজের বৈষম্য নিরসনে “শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ” একান্ত জরুরী

- আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ ১২০ বার পড়া হয়েছে
আরবি ভাষার কবি ‘আল মানফালুতি’ একদিন তার ধনী প্রতিবেশীর বাড়ীতে গেলেন তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তিনি দেখলেন লোকটি পেটের সমস্যায় ছটফট করছে। লোকটি জানালেন অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে তার এই অবস্থা।
আরেকদিন তিনি এক গরীব প্রতিবেশীর বাড়ীতে গেলেন তার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তিনি দেখলেন লোকটি ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করছে। লোকটি জানালেন আজ তিন দিন না খাওয়ার কারণে তার এই অবস্থা।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক সমাজের এটি এক বাস্তব চিত্র। এই ধরনের বৈষম্যপূর্ণ একটি সমাজ ভেঙে সুখী-সমৃদ্ধ ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা চায় আপামর জনতা।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা! MPOভুক্ত শিক্ষক সমাজ আজ অর্ধাহারে, Non MPO শিক্ষক সমাজ আজ অনাহারে আর নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক সমাজ আজ হতাশায় গণহারে দিন কাটাচ্ছে। আপনার দায়িত্বকালে খন্ড খন্ডভাবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয়করণ’ করা হয়েছে যা পাহাড়সম বৈষম্য । স্বাধীন দেশে এ ধরনের বৈষম্য মোটেই কাম্য নয়। বাবার সন্তান খোঁড়া, অন্ধ, বোবা যাই হোক না কেন সবাই সমান অংশীদার।
তাই আপনার স্বর্ণালী সময়কে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে আপামর জনতার প্রাণের দাবী টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করবেন এই প্রত্যাশা রইল।