ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য এন্ট্রি পদের নাম হবে শুধুই ‘শিক্ষক’ সহকারী শব্দটা থাকছে না। আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী নিজের রেকর্ডকে আরও শক্তিশালী করলেন। শান্তি মারদির হ্যাটট্রিক ও মুনকির গোলে বাংলাদেশের জয়।. জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে: নজরুল ইসলাম: শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  : সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ। ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্টার্কের ৬ উইকেট, স্কট ৩ উইকেট এবং হ্যাটট্রিক। ৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন: বজ্রপাত রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তালের চারা রোপণ।

শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  :

এম. ইউছুফ
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
এম. ইউছুফ :

শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  :

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার আছে। যার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যেগুলো মাল খালাস হয়নি। এসব পরিত্যক্ত কনটেইনার বন্দরের জায়গা সংকটের অন্যতম কারণ। অবশেষে বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এমন ৪৭৫টি পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
দুই ধাপে পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কোন কোন কনটেইনারে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মরিচা পড়ে ভেঙে গেছে, আবার কোনটাতে গাছ জন্মেছে। শেষমেশ পণ্যজট কমাতেই বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার। এর ফলে বন্দরের মূল্যবান জায়গা অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়েছে, সরকার হারিয়েছে রাজস্ব, শিপিং লাইনের কনটেইনার নষ্ট হয়েছে। এসব কনটেইনারের মধ্যে পণ্য ভালো আছে এমন ৪৭৫ কনটেইনার পণ্য দুই ধাপে নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
কাস্টমস ও বন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দরে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যেগুলোর খালাস হয়নি। এসব পরিত্যক্ত কনটেইনার বন্দরের জায়গা সংকটের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফছির উদ্দিন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং আমদানি-রপ্তানির গতি ফেরাতে এ নিলাম কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ধাপে ৪৭৫টি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। এর জন্য এনবিআরের অনুমোদনও পাওয়া গেছে।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২৪টি কনক্রিট মিকশ্চার মেশিন গাড়ি, টাইলস, কেমিক্যাল, জিপসাম বোর্ড, সিরামিক পণ্য, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ইঞ্জিন অয়েল, হাইড্রোলিক অয়েল ইত্যাদি পণ্যভর্তি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রথম ধাপে নিলাম হবে ২৪টি কনক্রিট মিকশ্চার মেশিন গাড়িসহ প্রায় ১২৫টি কনটেইনারে থাকা পণ্য। বাকি ৩৫০ কনটেইনারে থাকবে অপচনশীল পণ্য।
কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন প্রথম ধাপের ই-অকশন সম্পর্কে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে খালাস, আটক ও বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন ধরনের পণ্য যে অবস্থায় আছে নিলামে বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।নিলাম আগ্রহী ক্রেতারা ১৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৩০ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমস, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ই-অকশন মডিউলে রেজিস্ট্রেশন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
অনলাইন নিলামে বিড করার সময় কোটেশন মূল্যের ১০ শতাংশ জামানত হিসেবে যে কোন তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম’ অনুকূলে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির স্ক্যান কপি দাখিল করতে হবে। মূল কপি ও দলিলাদি ৩০ জুলাই বেলা ২টায় সিলগালাযুক্ত খামে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাখা বাক্সে জমা দিতে হবে।১৬-২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পণ্য পরিদর্শন করা যাবে।
কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার নিয়মিত বিডাররা ডেলিভারি সহজ করার দাবি জানিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন ও ১৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শেষ করলে নিলাম প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে মনে করেন তারা। দ্রুত নিলাম হলে বন্দরের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা খালি হবে। সেখানে নতুন আমদানি পণ্যের কনটেইনার রাখা যাবে এবং বন্দরের ইফিসিয়েন্সি অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিমাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টম হাউসকে নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা দিয়ে আসছে। প্রথম ধাপের নিলাম বিজ্ঞপ্তি কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলেও শিগগির দ্বিতীয় ধাপের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  :

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
এম. ইউছুফ :

শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  :

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার আছে। যার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যেগুলো মাল খালাস হয়নি। এসব পরিত্যক্ত কনটেইনার বন্দরের জায়গা সংকটের অন্যতম কারণ। অবশেষে বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এমন ৪৭৫টি পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
দুই ধাপে পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কোন কোন কনটেইনারে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মরিচা পড়ে ভেঙে গেছে, আবার কোনটাতে গাছ জন্মেছে। শেষমেশ পণ্যজট কমাতেই বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার। এর ফলে বন্দরের মূল্যবান জায়গা অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়েছে, সরকার হারিয়েছে রাজস্ব, শিপিং লাইনের কনটেইনার নষ্ট হয়েছে। এসব কনটেইনারের মধ্যে পণ্য ভালো আছে এমন ৪৭৫ কনটেইনার পণ্য দুই ধাপে নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
কাস্টমস ও বন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দরে প্রায় ৪০ হাজার কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যেগুলোর খালাস হয়নি। এসব পরিত্যক্ত কনটেইনার বন্দরের জায়গা সংকটের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফছির উদ্দিন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং আমদানি-রপ্তানির গতি ফেরাতে এ নিলাম কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ধাপে ৪৭৫টি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। এর জন্য এনবিআরের অনুমোদনও পাওয়া গেছে।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২৪টি কনক্রিট মিকশ্চার মেশিন গাড়ি, টাইলস, কেমিক্যাল, জিপসাম বোর্ড, সিরামিক পণ্য, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ইঞ্জিন অয়েল, হাইড্রোলিক অয়েল ইত্যাদি পণ্যভর্তি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। প্রথম ধাপে নিলাম হবে ২৪টি কনক্রিট মিকশ্চার মেশিন গাড়িসহ প্রায় ১২৫টি কনটেইনারে থাকা পণ্য। বাকি ৩৫০ কনটেইনারে থাকবে অপচনশীল পণ্য।
কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন প্রথম ধাপের ই-অকশন সম্পর্কে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে খালাস, আটক ও বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন ধরনের পণ্য যে অবস্থায় আছে নিলামে বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।নিলাম আগ্রহী ক্রেতারা ১৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৩০ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমস, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ই-অকশন মডিউলে রেজিস্ট্রেশন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
অনলাইন নিলামে বিড করার সময় কোটেশন মূল্যের ১০ শতাংশ জামানত হিসেবে যে কোন তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম’ অনুকূলে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির স্ক্যান কপি দাখিল করতে হবে। মূল কপি ও দলিলাদি ৩০ জুলাই বেলা ২টায় সিলগালাযুক্ত খামে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাখা বাক্সে জমা দিতে হবে।১৬-২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পণ্য পরিদর্শন করা যাবে।
কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার নিয়মিত বিডাররা ডেলিভারি সহজ করার দাবি জানিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন ও ১৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শেষ করলে নিলাম প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে মনে করেন তারা। দ্রুত নিলাম হলে বন্দরের ভেতর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা খালি হবে। সেখানে নতুন আমদানি পণ্যের কনটেইনার রাখা যাবে এবং বন্দরের ইফিসিয়েন্সি অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিমাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টম হাউসকে নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা দিয়ে আসছে। প্রথম ধাপের নিলাম বিজ্ঞপ্তি কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলেও শিগগির দ্বিতীয় ধাপের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।