ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
ভারী বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত। বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ, এবার শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন দেখতে পাবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ। আমার শিক্ষা ভাবনা: ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম  সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আজ বুধবার সকালে সমিতিপাড়ার সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় চবির আরেক শিক্ষার্থী আসিফের মরদেহ। পবিত্র হজ শেষে ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন হাজি দেশে ফিরেছেন, ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন।  ক্ষতিকর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে বন্ধ। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে ছাত্রদল নেতা নিহত, পুরুষ শূন্য গ্রাম। প্রায় ৪ বছর পর শপথ নিলেন ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া।

টেন্ডার জটিলতার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল দুই মাস পিছালো। 

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

টেন্ডার জটিলতার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল দুই মাস পিছালো। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের ৮ বিভাগের ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে। এ প্রকল্পটি চলবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি সফল হলে সারা দেশের স্কুলগুলোয় মিড ডে মিল চালু করা হবে।

জানা যায়, গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ বা মিড ডে মিল প্রকল্পটির আওতায় স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা।

সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হবে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। সোমবার বনরুটি ও দুধ এবং বুধবার মিলবে ফরটিফাইড বিস্কুট ও মৌসুমি ফল বা কলা। প্রতিটি বনরুটির ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ গ্রাম, প্রতিটি ডিম ৬০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, বিস্কুট ৭৫ গ্রাম ও ফল ১০০ গ্রাম।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করবে এবং ক্ষুধার তাড়না থেকে মুক্তি দিয়ে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার কমবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

চলতি মাসেই দেশের ৮ বিভাগের ১৫০ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখেরও বেশি শিশু শিক্ষার্থীর ‘মিড ডে মিল’ হাতে পাওয়ার কথা ছিল। তবে টেন্ডার কার্যক্রমে জটিলতার কারণে তা শুরু করা সম্ভব হয়নি।

01 (52)

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মিড ডে মিল চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ফলে মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার পেতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা আরও প্রায় দুই মাস বাড়লো।

প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ বলেন, প্রকল্পটি আগামী সেপ্টেম্বরে চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্নে আমরা কাজ করছি। অক্টোবরে টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের হাতে খাবার পৌঁছাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য তুলে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। এটি নিশ্চায়ন জরুরি। তাই সবদিক খেয়াল রেখে আমরা এগোচ্ছি। সব প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।

প্রকল্পে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণও গুরুত্ব পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হবে ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। অংশ নেবেন প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

টেন্ডার জটিলতার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল দুই মাস পিছালো। 

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

টেন্ডার জটিলতার কারণে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিল দুই মাস পিছালো। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের ৮ বিভাগের ৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে। এ প্রকল্পটি চলবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি সফল হলে সারা দেশের স্কুলগুলোয় মিড ডে মিল চালু করা হবে।

জানা যায়, গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ বা মিড ডে মিল প্রকল্পটির আওতায় স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বনরুটি, সিদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা।

সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হবে বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। সোমবার বনরুটি ও দুধ এবং বুধবার মিলবে ফরটিফাইড বিস্কুট ও মৌসুমি ফল বা কলা। প্রতিটি বনরুটির ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ গ্রাম, প্রতিটি ডিম ৬০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, বিস্কুট ৭৫ গ্রাম ও ফল ১০০ গ্রাম।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করবে এবং ক্ষুধার তাড়না থেকে মুক্তি দিয়ে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার কমবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

চলতি মাসেই দেশের ৮ বিভাগের ১৫০ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখেরও বেশি শিশু শিক্ষার্থীর ‘মিড ডে মিল’ হাতে পাওয়ার কথা ছিল। তবে টেন্ডার কার্যক্রমে জটিলতার কারণে তা শুরু করা সম্ভব হয়নি।

01 (52)

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মিড ডে মিল চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ফলে মিড ডে মিল বা দুপুরের খাবার পেতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা আরও প্রায় দুই মাস বাড়লো।

প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ বলেন, প্রকল্পটি আগামী সেপ্টেম্বরে চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্নে আমরা কাজ করছি। অক্টোবরে টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের হাতে খাবার পৌঁছাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ খাদ্য তুলে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। এটি নিশ্চায়ন জরুরি। তাই সবদিক খেয়াল রেখে আমরা এগোচ্ছি। সব প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।

প্রকল্পে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণও গুরুত্ব পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হবে ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। অংশ নেবেন প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তা।