শিরোনাম:
ফজলুল কাদের চৌধুীর ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ:

এম. ইউছুফ
- আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
এম ইউছুফ, চট্টগ্রাম।
ফজলুল কাদের চৌধুীর ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ:
তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এ কে এম ফজলুল কাদের চৌধুরীর ৫২তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কিংবদন্তী এই মহানায়কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কাদের চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এম এনাম হোসেন স্বাক্ষরিত উক্ত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম মহানায়ক ছিলেন মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কাদের চৌধুরী। ১৯৭১সনের মহান মুক্তিযুদ্ধে উনার ভূমিকাকে বিতর্কিত করেছিল আধিপত্যবাদী ভারত। তৎকালীন সময়ে ‘র’ পরিচালিত বাংলাদেশের গুপ্তচরদের দিয়ে মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কাদের চৌধুরীর দেশপ্রেম ও স্বগৌরবে স্বাধীনতাযুদ্ধ সংঘঠিত করার সঠিক কথাটি ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এবং হিন্দুস্থান ও তার হাতের পুতুল মুজিব গংরা সেদিন জাতির মাঝে একটি মিথ্যা ইতিহাসের জম্ম দিয়েছিল। আধিপত্যবাদ ভারত সূকৌশলে জাতিকে বিভক্ত করে এবং দেশপ্রেমিক জাতীয় বীরদের হত্যা করার ইন্ধন যুগিয়ে ধংস করতে চেয়েছে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব। মরহুমের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের ইতিহাস সঠিকভাবে যদি মূল্যায়ন করা হয় দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, মরহুম চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন কালে নিজ মাতৃভূমির প্রতি অগাধ ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চুয়েট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেরিন ফিসারিজ, মেরিন একাডেমি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সহ অসংখ্যা প্রতিষ্টান। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার পরেও এই পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠান বা হল মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামকরনে হয়নি। এইটি জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার বিগত সময়ের আগ্রাসী ভারত প্রযোজিত সকল মিথ্যা ইতিহাস আঁস্তাকুড়ে ফেলবে। জাতি বিশ্বাস করে আজ যদি সঠিক ইতিহাস রচয়িতা হয় মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কাদের চৌধুরীর দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্রে মরহুম চৌধুরীর করুন মৃত্যুর ইতিহাস সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে। মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মহাবীর। তিনি মুজিবের ষড়যন্ত্র মার্কা স্বাধীনতাতে বিশ্বাসী ছিলেন না, তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষ স্বগৌরবে স্বাধীনতা ভোগ করবে। কিন্তু মিথ্যাবাদী মুজিবের ভারত চক্রে তা ধূলিস্যাৎ হয়েছে।
বিবৃতি দাতা বলেন, সময়ের ব্যবধানে বর্তমান প্রজম্ম মুজিব কন্যার ফ্যাসিস্ট আচরনকে পদদলিত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস মূল্যায়ন করা শুরু করেছে। সুতরাং চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র জনতা এই মুহুর্তে দাবী রাখে, অনতিবিলম্বে মরহুম একেএম ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হল এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতি করনের। ক্ষনজম্মা কৃর্তিমান পুরুষ মরহুম চৌধুরী সাহেবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। দেশপ্রেমিক এই মহাবীর যেন জান্নাতের উঁচু স্থানে আসীন হয় আল্লাহ পাকের নিকট সর্বদা এই প্রার্থনা করি।
কর্মসূচি
এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে রাউজান গহিরাস্থ মরহুমের কবরে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জেয়ারত করা হবে। একই দিন বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম শহরস্থ মরহুমের পারিবারিক বাসভবন গুডস্হিলে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে রাউজান গহিরাস্থ মরহুমের কবরে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও জেয়ারত করা হবে। একই দিন বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম শহরস্থ মরহুমের পারিবারিক বাসভবন গুডস্হিলে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
রাউজান শমসের নগর ফজলুল কাদের চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, ফজলুল কাদের চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ, হাটহাজারীস্থ রহিমপুর ফজলুল কাদের চৌধুরী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম, মুসলিম লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক–রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও মিলাদ মহফিলের আয়োজন করেছে। এতে সকল শুভাকাক্ষীদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ কে এম ফজলুল কাদের চৌধুরী ১৯১৯ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে পিতা খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ঔরশে ও মাতৃকূল মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালের ১৮ জুলাই তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চুয়েট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেরিন ফিসারিজ, মেরিন একাডেমি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সহ অসংখ্যা প্রতিষ্টান প্রতিষ্ঠা করেন ।