ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার

আবু জাহান তালুকদার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর থেকে ফতেপুর হয়ে জেলা শহরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে নৌকায় পারাপার করিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার এই সড়কটি তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার অন্যতম যোগাযোগ পথ। বর্ষা মৌসুমে বালিজুরী ইউনিয়নের বারঙ্কা গ্রামের সামনে সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেলে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খেয়া পারাপারের ইজারা দেওয়া হয়।
চলতি বছর পানি থাকা অবস্থায় আনোয়ারপুর গ্রামের জামাল মিয়া ২ লাখ ৮২ হাজার টাকায় ওই খেয়া পারাপারের ইজারা নেন। তবে গত ৮–১০ দিন আগে সড়কটির পানির স্তর নেমে গিয়ে পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। তবুও ইজারাদারের লোকজন বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে নৌকায় পারাপার করিয়ে টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারাপারে কোনো সরকারি চার্ট বা নির্ধারিত নিয়ম ছাড়াই গত ছয় মাস ধরে মোটরসাইকেল প্রতি ৩০ টাকা করে আদায় করছে ইজারাদারের লোকজন। এতে প্রতিদিন হাজারো পথচারী ও যানবাহন চালক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মিয়া ও মঈনুল ইসলাম বলেন, এখন রাস্তা একদম শুকনো, গাড়ি সহজেই যেতে পারে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে। আমাদের জোর করে নৌকায় উঠিয়ে টাকা নিচ্ছে এটা একেবারেই অবৈধ।
মোটরসাইকেল নিয়ে তাহিরপুরে আসা রাববী ও সুজন বলেন, একটু জায়গা পার করে প্রতি মোটরসাইকেল ৩০ টাকা রাখে। সরকারি কোন চার্ট নাই, কোন নিয়ম নাই। যেভাবে পারছে পথচারীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তারা।
মোটরসাইকেল চালক রিয়াদ মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করি। এখন পানি নেই, কিন্তু তারপরও ৩০ টাকা দিতে হয়। বাঁশ সরাতে গেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার জামাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পারাপারের দায়িত্বে থাকা ইজারাদারের লোকজন বলেন, রাস্তা পুরোপুরি শুকায় নি। কিছু জায়গায় এখনো কাদা আছে, তাই নিরাপত্তার জন্য বাঁশ দিয়ে পারাপার নিয়ন্ত্রণ করছি। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ ঠিক নয়।
বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, পানি থাকা অবস্থায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল। এখন রাস্তা শুকিয়ে গেলে নৌকা পারাপারের আর প্রয়োজন নেই। কেউ যদি জোর করে চাঁদা তোলে, সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারুখ হাসান শান্তনু বলেন, বিষয়টি আপনার থেকে শুনলাম। রাস্তা শুকিয়ে গেলে ইজারাদারের খেয়া চালানোর অধিকার নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার

আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর থেকে ফতেপুর হয়ে জেলা শহরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে নৌকায় পারাপার করিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার এই সড়কটি তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ উপজেলার অন্যতম যোগাযোগ পথ। বর্ষা মৌসুমে বালিজুরী ইউনিয়নের বারঙ্কা গ্রামের সামনে সড়কের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেলে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে খেয়া পারাপারের ইজারা দেওয়া হয়।
চলতি বছর পানি থাকা অবস্থায় আনোয়ারপুর গ্রামের জামাল মিয়া ২ লাখ ৮২ হাজার টাকায় ওই খেয়া পারাপারের ইজারা নেন। তবে গত ৮–১০ দিন আগে সড়কটির পানির স্তর নেমে গিয়ে পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। তবুও ইজারাদারের লোকজন বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে নৌকায় পারাপার করিয়ে টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারাপারে কোনো সরকারি চার্ট বা নির্ধারিত নিয়ম ছাড়াই গত ছয় মাস ধরে মোটরসাইকেল প্রতি ৩০ টাকা করে আদায় করছে ইজারাদারের লোকজন। এতে প্রতিদিন হাজারো পথচারী ও যানবাহন চালক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মিয়া ও মঈনুল ইসলাম বলেন, এখন রাস্তা একদম শুকনো, গাড়ি সহজেই যেতে পারে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে। আমাদের জোর করে নৌকায় উঠিয়ে টাকা নিচ্ছে এটা একেবারেই অবৈধ।
মোটরসাইকেল নিয়ে তাহিরপুরে আসা রাববী ও সুজন বলেন, একটু জায়গা পার করে প্রতি মোটরসাইকেল ৩০ টাকা রাখে। সরকারি কোন চার্ট নাই, কোন নিয়ম নাই। যেভাবে পারছে পথচারীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তারা।
মোটরসাইকেল চালক রিয়াদ মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করি। এখন পানি নেই, কিন্তু তারপরও ৩০ টাকা দিতে হয়। বাঁশ সরাতে গেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার জামাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পারাপারের দায়িত্বে থাকা ইজারাদারের লোকজন বলেন, রাস্তা পুরোপুরি শুকায় নি। কিছু জায়গায় এখনো কাদা আছে, তাই নিরাপত্তার জন্য বাঁশ দিয়ে পারাপার নিয়ন্ত্রণ করছি। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ ঠিক নয়।
বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, পানি থাকা অবস্থায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল। এখন রাস্তা শুকিয়ে গেলে নৌকা পারাপারের আর প্রয়োজন নেই। কেউ যদি জোর করে চাঁদা তোলে, সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারুখ হাসান শান্তনু বলেন, বিষয়টি আপনার থেকে শুনলাম। রাস্তা শুকিয়ে গেলে ইজারাদারের খেয়া চালানোর অধিকার নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।