ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী নিজের রেকর্ডকে আরও শক্তিশালী করলেন। শান্তি মারদির হ্যাটট্রিক ও মুনকির গোলে বাংলাদেশের জয়।. জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে হবে: নজরুল ইসলাম: শেষমেশ পণ্যজট কমাতে বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৭৫ পণ্যবাহী কনটেইনার  : সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ। ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্টার্কের ৬ উইকেট, স্কট ৩ উইকেট এবং হ্যাটট্রিক। ৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন: বজ্রপাত রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তালের চারা রোপণ। সবাইকে ‘জুলাই বিপ্লব’ চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যপদ ১০০৮২২টি আবেদন জমা পড়েছে ৫৭৮৪০।

রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের পুরো সময়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসেনি।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ জুনে ২৮২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে যা এতদিনে দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স। করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনের দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এর পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। একের পর এক রেকর্ড গড়ে রেমিট্যান্স। প্রতি মাসেই প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। আর এর মধ্যদিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জানান, করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছর। বর্তমানে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। এর কারণ রেমিট্যান্সের ডলারে দর বেড়েছে, খোলাবাজারের সঙ্গে ডলারের দরের ব্যবধান কমেছে। তাছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও কমেছে। এসব কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা বাড়ছে।

এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সে এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড ছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের পুরো সময়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসেনি।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সর্বশেষ জুনে ২৮২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এসেছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে যা এতদিনে দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স। করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনের দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এর পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। একের পর এক রেকর্ড গড়ে রেমিট্যান্স। প্রতি মাসেই প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। আর এর মধ্যদিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড গড়লো ২০২৪-২৫ অর্থবছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জানান, করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছর। বর্তমানে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। এর কারণ রেমিট্যান্সের ডলারে দর বেড়েছে, খোলাবাজারের সঙ্গে ডলারের দরের ব্যবধান কমেছে। তাছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও কমেছে। এসব কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা বাড়ছে।

এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সে এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড ছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি বা ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।