ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার ১ যুবক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের রাস্তার পাশের এতিম শিক্ষার্থীদের রোপন করা অর্ধশত কলাগাছ কেটে দিয়েছে এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের বিপরীতে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে সভা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে  চা  ব্যবসায়ীকে  কুপিয়ে হত্যা রূপগঞ্জে ইউটিউব ব্লগার জিসানের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার ০১ রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক ও বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘুরছেন ৮৮ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী, প্রয়োজন ৯ হাজার কোটি টাকা। চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক জোটগুলো থেকে মোট ১০টি প্যানেল ঘোষণা। টিসিবি পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর সামনে অপেক্ষমাণ মানুষের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জিতেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা।

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে। একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এমন সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তার আগে, ১৫ জুলাই অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির নিয়মিত কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে থাকা ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদের মধ্যে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, কোন ১০টি সিম তারা রাখতে চান।

সিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব নম্বর থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহৃত হয় এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে, অনেক গ্রাহককে নিজেদের অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে বাধ্য হতে হবে, আর অপারেটরদেরও নিতে হবে প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ।

বিটিআরসি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি হালনাগাদ করা হলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। তবে সম্প্রতি সিম জালিয়াতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সীমা আরও কমিয়ে আনা হলো।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অপারেটরদের মাধ্যমে আগাম প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে।

এদিকে, গত ২৪ জুন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় আরও কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে একইসঙ্গে এক বছর পরপর সিম নবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে এ বিষয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, একজন ব্যক্তির নামে বেশি সংখ্যক সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় সেগুলো নানা ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও অবৈধ তদবিরে সিম ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে—বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে উপদেষ্টাদের নাম ব্যবহার করে তদবির, আবার জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে, আর ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহক। ফলে, নতুন সীমা বাস্তবায়ন করা গেলে বেশিরভাগ গ্রাহকের ওপর এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন একজন গ্রাহক, অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।

বর্তমানে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে। একজন গ্রাহক নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এমন সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তার আগে, ১৫ জুলাই অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির নিয়মিত কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে থাকা ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদের মধ্যে যাদের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাঠানো হবে। অপারেটররা ওই গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইবে, কোন ১০টি সিম তারা রাখতে চান।

সিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে যেসব নম্বর থেকে বেশি কল বা ডেটা ব্যবহৃত হয় এবং যেগুলো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট) সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে, অনেক গ্রাহককে নিজেদের অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে বাধ্য হতে হবে, আর অপারেটরদেরও নিতে হবে প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ।

বিটিআরসি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করেছিল। পরে ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতি হালনাগাদ করা হলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। তবে সম্প্রতি সিম জালিয়াতি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতারণা বেড়ে যাওয়ায় সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে সীমা আরও কমিয়ে আনা হলো।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক সিম ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি নতুন সীমা নির্ধারণ করেছে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অপারেটরদের মাধ্যমে আগাম প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে।

এদিকে, গত ২৪ জুন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় আরও কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে একইসঙ্গে এক বছর পরপর সিম নবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বিটিআরসিকে এ বিষয় বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, একজন ব্যক্তির নামে বেশি সংখ্যক সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকায় সেগুলো নানা ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও অবৈধ তদবিরে সিম ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে—বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগে উপদেষ্টাদের নাম ব্যবহার করে তদবির, আবার জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার ঘটনা।

বিটিআরসির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে। ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ গ্রাহকের নামে, আর ১১ থেকে ১৫টি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহক। ফলে, নতুন সীমা বাস্তবায়ন করা গেলে বেশিরভাগ গ্রাহকের ওপর এর প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে।