২৬ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা।

- আপডেট সময় : ০১:২৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
২৬ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা। অন্যদিকে আরেকদল পরীক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি। এতে পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে মুখোমুখি পরীক্ষার্থীদের দুই পক্ষ।
আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন একদল পরীক্ষার্থী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ফরম পূরণ করেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। আগামী ১৮-১৯ জুন ফের ফরম পূরণের সুযোগ দিয়েছে বিভিন্ন বোর্ড। ফলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে।
পরীক্ষার্থীদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দিকে লং মার্চ করবেন তারা। এরপর শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করা হবে।
তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরও স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’। এজন্য তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামছেন।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা জানান, এদিন একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, কুমিল্লা ও দিনাজপুর বোর্ডের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ শহরে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, এ কর্মসূচি হবে তাদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি। এরপরও দাবি না মানলে দেশজুড়ে বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
পরীক্ষার্থীদের তিন দফা-
১. এইচএসসি-২০২৫ সালের পরীক্ষা পেছাতে হবে। ২. জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা, নিরাপত্তা, লোডশেডিং ও বন্যার কারণে দুই-তিন মাসের পড়াশোনার ক্ষতি পূরণে সময় দেওয়া। ৩. বহুনির্বাচনি ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষায় পাসের ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের ঘোষিত ৩৩ দফা নির্দেশনা বাতিল করা।
অন্যদিকে, পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়ার পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা এ ধরনের দাবিকে অযৌক্তিক বলছেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ২৬ জুন থেকে পরীক্ষা শুরুর পক্ষে বলেও জানান তারা।
তারা বলেন, একাধিকবার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, প্রস্তুতির সময়ও ছিল যথেষ্ট। এখন পরীক্ষা পেছানো মানে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা।