আজ বুধবার সকালে সমিতিপাড়ার সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ।
আজ বুধবার সকালে সমিতিপাড়ার সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ। ২৪ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে উঠল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ।
গত সোমবার কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে পানিতে নেমে নিখোঁজ হন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কে এম সাদমান রহমান সাবাব, অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ নামে তিন শিক্ষার্থী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সহপাঠী ফারহান ও রিয়াদ। এর মধ্যে গতকাল সাদমান রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন বাকি দুজন। আজ সকালে আসিফের মরদেহ ভেসে ওঠে। এখনো নিখোঁজ অরিত্র হাসান।
সাদমান রহমানের মরদেহ গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁর বাড়ি ঢাকার মিরপুরে। আসিফ ও অরিত্র দুজনেই বগুড়ার সন্তান।
বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষে ঘুরতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে হিমছড়ি জাদুঘর এলাকার বিচে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিন শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, তাঁরা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন। সোমবার রাতে হিমছড়ির উদ্দেশে বের হয়ে রাতে সেখানে অবস্থান করেন। পরে গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তারা বিচে নামেন।
সহপাঠী ফারহান ও রিয়াদ বলেন, ‘শুরুতে কারোরই বিচে নামার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু সাবাব শুরুতে নেমে পড়ে। তার দেখাদেখি আসিফ, অরিত্রও নেমে পড়ে গোসলে। শুরুতে ঢেউ বেশি ছিল না, কিন্তু হঠাৎ বড় ঢেউ আসতে শুরু করে, তারা উঠে আসার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, গতকাল সাবাবের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে আসিফের মরদেহ ভেসে এসেছে। কিন্তু এখনো অরিত্র হাসানের কোনো খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে।