ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া

মোঃ আছমত আলী,
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া

ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে চলছে অবাধ লুটপাট, ভাংচুর। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া।
নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে বেশ কয়েকটি  পরিবার।
স্থানীয় ও পুলিশ  সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনর ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে মারধর হয়। ঘটনার পর গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উভয়ের নিজ গ্রামের বাড়িতে সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য সালিশ বসে। সালিশ চলাকালীন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে আমির আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ  পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাচ, আর লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র। প্রতিপক্ষ লোকজনের দাবি, নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমির আলী নিহত হওয়ার পর তাঁর আত্নীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮ টি গরু, ৪ টি ছাগল সহ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না।’
ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাংচুর করেছে তা আমরা জানি না।
নাসিরনগর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ বলেন, দাঁতমন্ডল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক। ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাসিরনগরের যুবকের মৃত্যুতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া

ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে চলছে অবাধ লুটপাট, ভাংচুর। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে অর্ধশতাধিক মানুষ গ্রাম ছাড়া।
নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে বেশ কয়েকটি  পরিবার।
স্থানীয় ও পুলিশ  সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনর ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাকবিতণ্ডার জেরে মারধর হয়। ঘটনার পর গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উভয়ের নিজ গ্রামের বাড়িতে সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য সালিশ বসে। সালিশ চলাকালীন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে আমির আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ  পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাচ, আর লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র। প্রতিপক্ষ লোকজনের দাবি, নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমির আলী নিহত হওয়ার পর তাঁর আত্নীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮ টি গরু, ৪ টি ছাগল সহ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না।’
ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাংচুর করেছে তা আমরা জানি না।
নাসিরনগর থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ বলেন, দাঁতমন্ডল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোকজন প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক। ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয় অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।