ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ। ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্টার্কের ৬ উইকেট, স্কট ৩ উইকেট এবং হ্যাটট্রিক। ৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন: বজ্রপাত রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তালের চারা রোপণ। সবাইকে ‘জুলাই বিপ্লব’ চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যপদ ১০০৮২২টি আবেদন জমা পড়েছে ৫৭৮৪০। চলতি মাসের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব নামে ওয়েবসাইট তৈরি করার নির্দেশনা। এসডিজি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল। পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিজিএমইএ ও আইবিসিভুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনগুলো একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার। প্রথম ও একমাত্র অত্যাধুনিক হেলমেট টেস্টিং ল্যাবরেটরি এবং ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি চালু।

৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন:

এম. ইউছুফ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন:

ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের বহিষ্কার ও বিচার এবং চাকসু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে ছাত্রশিবির। এ সময় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার না করায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের (ফ্যাসিবাদের দোসর) নাম জানার জন্য ছাত্রশিবিরের অফিসে আসুন। এসে তাদের নামের ফাইল নিয়ে যান।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা ‘তোমার আমার অধিকার, চাকসু চাকসু’, ‘জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘মাথার ওপর ছাতা দে, নয় আবাসন ভাতা দে’, ‘হল আবাসন সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’, ‘ফ্যাসিবাদের বিচার চাই, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘চতুর্দিকে স্বৈরাচার, কবে হবে বহিষ্কার’সহ নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল, ফ্যাসিবাদের দোসর সেই শিক্ষকরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের বহিষ্কার না করে উলটো পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে, বারবার দাবি জানানোর পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভিসি স্যার নাকি ফ্যাসিবাদের দোসরদের নাম খুঁজে পান না। ভিসি স্যারকে বলতে চাই, তাদের নাম জানার জন্য ছাত্রশিবিরের অফিসে আসুন। এসে তাদের নামের ফাইল নিয়ে যান। ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে এই প্রশাসন চলতে পারবে না।’
চবির সেক্রেটারি পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সব সুযোগ-সুবিধা থাকলে, শিক্ষার্থীদের থাকবে না কেন? শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। বারবার দাবি জানানোর পরও চাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেব।’
চবি ভিসিকে কুয়েট ভিসি’র পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রশাসন কিছুদিন আগে এক সন্ত্রাসীকে (শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তী) প্রমোশন দেওয়ার জন্য বোর্ড বসিয়েছিল। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। এখন শোনা যাচ্ছে, ফ্যাসিবাদের আরও কয়েকজন দোসরকে পদোন্নতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, কুয়েটের ভিসির থেকে শিক্ষা নিন।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চবি শিবিরের দফতর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, বায়তুল মাল সম্পাদক হাসান মুজাহিদ, সাহিত্য সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাপতি রবিউল ইসলাম বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন:

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন:

ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের বহিষ্কার ও বিচার এবং চাকসু নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে ছাত্রশিবির। এ সময় ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার না করায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তাদের (ফ্যাসিবাদের দোসর) নাম জানার জন্য ছাত্রশিবিরের অফিসে আসুন। এসে তাদের নামের ফাইল নিয়ে যান।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা ‘তোমার আমার অধিকার, চাকসু চাকসু’, ‘জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘মাথার ওপর ছাতা দে, নয় আবাসন ভাতা দে’, ‘হল আবাসন সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’, ‘ফ্যাসিবাদের বিচার চাই, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘চতুর্দিকে স্বৈরাচার, কবে হবে বহিষ্কার’সহ নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল, ফ্যাসিবাদের দোসর সেই শিক্ষকরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের বহিষ্কার না করে উলটো পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে, বারবার দাবি জানানোর পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভিসি স্যার নাকি ফ্যাসিবাদের দোসরদের নাম খুঁজে পান না। ভিসি স্যারকে বলতে চাই, তাদের নাম জানার জন্য ছাত্রশিবিরের অফিসে আসুন। এসে তাদের নামের ফাইল নিয়ে যান। ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে এই প্রশাসন চলতে পারবে না।’
চবির সেক্রেটারি পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সব সুযোগ-সুবিধা থাকলে, শিক্ষার্থীদের থাকবে না কেন? শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। বারবার দাবি জানানোর পরও চাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেব।’
চবি ভিসিকে কুয়েট ভিসি’র পরিণতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রশাসন কিছুদিন আগে এক সন্ত্রাসীকে (শিক্ষক কুশল বরণ চক্রবর্তী) প্রমোশন দেওয়ার জন্য বোর্ড বসিয়েছিল। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। এখন শোনা যাচ্ছে, ফ্যাসিবাদের আরও কয়েকজন দোসরকে পদোন্নতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, কুয়েটের ভিসির থেকে শিক্ষা নিন।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চবি শিবিরের দফতর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, বায়তুল মাল সম্পাদক হাসান মুজাহিদ, সাহিত্য সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভাপতি রবিউল ইসলাম বক্তব্য দেন।