ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
টাঙ্গাইলে দেশীয় মাছ রক্ষায় বিশেষ অভিযান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ। ২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সকল কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখার নির্দেশনা HSC ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন, পরীক্ষা শুরু আগামী ২৬ জুন। চুনারুঘাটের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ইসমাইল মুন্সী উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির আকুল আবেদন।  জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হবে- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ আর্চারিতে ৬ বছর পর সোনা জিতলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নন-টিচিং স্টাফ নিয়োগে নতুন নীতিমালা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ছাত্রদলের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

ভারতের বিমান ধ্বংসের কথা মানলেন সিডিএস

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নয়াদিল্লি, ১লা জুন, ২০২৫: দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান স্বীকার করেছেন যে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট বিমান হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত আকাশযুদ্ধে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি যে ঠিক কতগুলি বিমান ধ্বংস হয়েছিল, তবে এই স্বীকারোক্তি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
২০১৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানোর একদিন পর, ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো কাশ্মীরের আকাশে মুখোমুখি হয়েছিল। ওই সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে এবং একজন ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছে। ভারত প্রাথমিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করে একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার পাল্টা দাবি করেছিল।
জেনারেল চৌহানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলাতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তার এই স্বীকারোক্তিকে transparency-র একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনে সহায়ক হতে পারে। তবে, ঠিক কতগুলি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল, সেই সংখ্যা স্পষ্ট না করায় এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে।
এই বিষয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, জেনারেল চৌহানের এই স্বীকারোক্তি নিঃসন্দেহে দুই দেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
technical
ট্যাগস :

ভারতের বিমান ধ্বংসের কথা মানলেন সিডিএস

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

নয়াদিল্লি, ১লা জুন, ২০২৫: দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান স্বীকার করেছেন যে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট বিমান হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত আকাশযুদ্ধে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল। যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে জানাননি যে ঠিক কতগুলি বিমান ধ্বংস হয়েছিল, তবে এই স্বীকারোক্তি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
২০১৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানোর একদিন পর, ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো কাশ্মীরের আকাশে মুখোমুখি হয়েছিল। ওই সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে এবং একজন ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছে। ভারত প্রাথমিকভাবে এই দাবি অস্বীকার করে একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার পাল্টা দাবি করেছিল।
জেনারেল চৌহানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলাতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। তার এই স্বীকারোক্তিকে transparency-র একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনে সহায়ক হতে পারে। তবে, ঠিক কতগুলি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল, সেই সংখ্যা স্পষ্ট না করায় এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে।
এই বিষয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, জেনারেল চৌহানের এই স্বীকারোক্তি নিঃসন্দেহে দুই দেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হবে।