ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫ ৬১২ বার পড়া হয়েছে

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত ছাড় করা হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান অজুহাত দেখিয়ে তা যথাসময়ে প্রদান করছে না, যা বিধিবহির্ভূত। এমপিওভুক্তদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না।

এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান অনুপস্থিত থাকলে সহ-সুপার, উপাধ্যক্ষ কিংবা জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে পারবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।

তবে এসব ব্যবস্থার পরও যদি বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ রাখা হয়, তা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং কমিটির বিরুদ্ধে প্রবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—যা অনেক প্রতিষ্ঠান মানছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই বিধান কঠোরভাবে মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত ছাড় করা হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান অজুহাত দেখিয়ে তা যথাসময়ে প্রদান করছে না, যা বিধিবহির্ভূত। এমপিওভুক্তদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না।

এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান অনুপস্থিত থাকলে সহ-সুপার, উপাধ্যক্ষ কিংবা জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে পারবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।

তবে এসব ব্যবস্থার পরও যদি বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ রাখা হয়, তা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং কমিটির বিরুদ্ধে প্রবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—যা অনেক প্রতিষ্ঠান মানছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই বিধান কঠোরভাবে মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।