এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না। মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত ছাড় করা হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান অজুহাত দেখিয়ে তা যথাসময়ে প্রদান করছে না, যা বিধিবহির্ভূত। এমপিওভুক্তদের বেতন বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির নেই—এমনকি শাস্তিমূলক সাময়িক বরখাস্ত হলেও খোরপোশ বন্ধ করা যাবে না।
এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান অনুপস্থিত থাকলে সহ-সুপার, উপাধ্যক্ষ কিংবা জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে পারবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।
তবে এসব ব্যবস্থার পরও যদি বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ রাখা হয়, তা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল এবং কমিটির বিরুদ্ধে প্রবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—যা অনেক প্রতিষ্ঠান মানছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই বিধান কঠোরভাবে মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।