ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

ICT Lecturer সংকট: উত্তরনের উপায়

  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ ২১৫ বার পড়া হয়েছে

২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে HSC তে ICT পরীক্ষা হয়নি। আবার ২০২৩ সালের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গেছে অনেক কলেজে ICT Lecturer এর পদ শূণ্য। বিষয়টি আবশ্যিক অথচ পরীক্ষা হচ্ছে না, এমন চলতে থাকলে একটি জেনারেশন এর মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিগত জ্ঞানের গ্যাপ দেখা দিবে বলে শংকিত শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মহল।

 

৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পর্যন্ত ICT Lecturer এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো ৩ ক্যাটাগরির। (ক) CSE তে কমপক্ষে ৪ বছরের অনার্স ও নিবন্ধন সনদ (খ) M.Sc +৬ মাসের প্রশিক্ষণ সনদসহ নিবন্ধন ও (৩) যে কোন বিষয়ে মাস্টার্স+ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ সনদসহ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন থেকে যুগের চাহিদা ও মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার শুধুমাত্র CSE ধারীদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

 

কিন্তু CSE ধারী শিক্ষকবৃন্দ কেউ কেউ এ পেশায় আসতে চান না। HSTTI কুমিল্লাতে ২৭ দিনের প্রশিক্ষনে গিয়ে ২০ জনের মধ্যে ২ জন CSEধারী পেয়েছিলাম। আবার ঢাকা BANBEIS এ ১৫ দিনের প্রশিক্ষনে গিয়ে ২১ জনের মধ্যে ১ জন CSEতে ডিপ্লোমাধারী পেয়েছিলাম। বোর্ডের বিভিন্ন গুরুত্তপূর্ণ কাজে গিয়েও বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কেউবা মাদ্রাসায় যেতে অনিচ্ছুক। কেউবা গ্রামের কলেজে যেতে অনীহা। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়ার জন্য অনেক খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের। কোন কোন মাদ্রাসায় তো অফিস সহকারীও উক্ত ক্লাস নেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে সুবিধা করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। যা কখনো কাম্য নয়।

 

৩য় ক্যাটাগরির অনেক শিক্ষককে দেখেছি যারা অনেক পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করেছেন। ব্যবহারিক ও তাত্তিক জ্ঞান বেশ ভাল, ক্লাস কন্ট্রোল, কঠিন বিষয় সহজভাবে উপস্থাপনে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। অনেকে মাস্টার ট্রেইনার ও প্রশ্নকর্তা হয়েছেন। আসলে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেকেরই আছে কিন্তু যোগ্য শিক্ষক হাতে গোনা।

 

গ্রামের কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুল এন্ড কলেজে যদি ৩য় ক্যাটাগরির শিক্ষক সুযোগ পান তিনি তার অবস্থানে মোটামুটি সন্তষ্ট থাকবেন। যে কোন বিষয়ের শিক্ষকের নিবন্ধনের সুযোগ দিলে পাশ করবে এমন সংখ্যা খুবই সামান্য। তবুও তো ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন একান্তই জরুরী।

———————————

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com

Mob: 01711 06 89 70

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

ICT Lecturer সংকট: উত্তরনের উপায়

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে HSC তে ICT পরীক্ষা হয়নি। আবার ২০২৩ সালের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গেছে অনেক কলেজে ICT Lecturer এর পদ শূণ্য। বিষয়টি আবশ্যিক অথচ পরীক্ষা হচ্ছে না, এমন চলতে থাকলে একটি জেনারেশন এর মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিগত জ্ঞানের গ্যাপ দেখা দিবে বলে শংকিত শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মহল।

 

৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পর্যন্ত ICT Lecturer এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো ৩ ক্যাটাগরির। (ক) CSE তে কমপক্ষে ৪ বছরের অনার্স ও নিবন্ধন সনদ (খ) M.Sc +৬ মাসের প্রশিক্ষণ সনদসহ নিবন্ধন ও (৩) যে কোন বিষয়ে মাস্টার্স+ ৬ মাসের প্রশিক্ষণ সনদসহ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন থেকে যুগের চাহিদা ও মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার শুধুমাত্র CSE ধারীদের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

 

কিন্তু CSE ধারী শিক্ষকবৃন্দ কেউ কেউ এ পেশায় আসতে চান না। HSTTI কুমিল্লাতে ২৭ দিনের প্রশিক্ষনে গিয়ে ২০ জনের মধ্যে ২ জন CSEধারী পেয়েছিলাম। আবার ঢাকা BANBEIS এ ১৫ দিনের প্রশিক্ষনে গিয়ে ২১ জনের মধ্যে ১ জন CSEতে ডিপ্লোমাধারী পেয়েছিলাম। বোর্ডের বিভিন্ন গুরুত্তপূর্ণ কাজে গিয়েও বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কেউবা মাদ্রাসায় যেতে অনিচ্ছুক। কেউবা গ্রামের কলেজে যেতে অনীহা। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়ার জন্য অনেক খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের। কোন কোন মাদ্রাসায় তো অফিস সহকারীও উক্ত ক্লাস নেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে সুবিধা করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। যা কখনো কাম্য নয়।

 

৩য় ক্যাটাগরির অনেক শিক্ষককে দেখেছি যারা অনেক পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করেছেন। ব্যবহারিক ও তাত্তিক জ্ঞান বেশ ভাল, ক্লাস কন্ট্রোল, কঠিন বিষয় সহজভাবে উপস্থাপনে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। অনেকে মাস্টার ট্রেইনার ও প্রশ্নকর্তা হয়েছেন। আসলে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেকেরই আছে কিন্তু যোগ্য শিক্ষক হাতে গোনা।

 

গ্রামের কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুল এন্ড কলেজে যদি ৩য় ক্যাটাগরির শিক্ষক সুযোগ পান তিনি তার অবস্থানে মোটামুটি সন্তষ্ট থাকবেন। যে কোন বিষয়ের শিক্ষকের নিবন্ধনের সুযোগ দিলে পাশ করবে এমন সংখ্যা খুবই সামান্য। তবুও তো ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন একান্তই জরুরী।

———————————

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com

Mob: 01711 06 89 70