ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলো পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

লাহোর, ২রা জুন, ২০২৫: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে রেকর্ড গড়ে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ালো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। এই হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ দল।
রবিবার (১লা জুন) লাহোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম ১১০ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়েন। পারভেজ ইমন ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। তানজিদ তামিমও ফিফটি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করা ১৭৫ রান।
তবে, বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস একাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। ৪৬ বলে ১০৭ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান মাত্র ১৬ বল হাতে রেখেই ১৯৭ রানের লক্ষ্য টপকে যায়। হারিসের সাথে সাইম আইয়ুবের ৪৫ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ২৬ রানও পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও পাকিস্তান দুর্দান্ত পারফর্ম করে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ রান করে ৩৭ রানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০১ রান করে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধারাবাহিকতার অভাব এবং বোলারদের দুর্বল পারফরম্যান্স পুরো সিরিজ জুড়েই চোখে পড়েছে।
এই ধবলধোলাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখার বিষয়। সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
technical
ট্যাগস :

বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলো পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

লাহোর, ২রা জুন, ২০২৫: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে রেকর্ড গড়ে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ালো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। এই হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ দল।
রবিবার (১লা জুন) লাহোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম ১১০ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়েন। পারভেজ ইমন ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। তানজিদ তামিমও ফিফটি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করা ১৭৫ রান।
তবে, বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস একাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। ৪৬ বলে ১০৭ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান মাত্র ১৬ বল হাতে রেখেই ১৯৭ রানের লক্ষ্য টপকে যায়। হারিসের সাথে সাইম আইয়ুবের ৪৫ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ২৬ রানও পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও পাকিস্তান দুর্দান্ত পারফর্ম করে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ রান করে ৩৭ রানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০১ রান করে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধারাবাহিকতার অভাব এবং বোলারদের দুর্বল পারফরম্যান্স পুরো সিরিজ জুড়েই চোখে পড়েছে।
এই ধবলধোলাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখার বিষয়। সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারিস।