ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
টাঙ্গাইলে দেশীয় মাছ রক্ষায় বিশেষ অভিযান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ। ২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সকল কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখার নির্দেশনা HSC ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন, পরীক্ষা শুরু আগামী ২৬ জুন। চুনারুঘাটের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ইসমাইল মুন্সী উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির আকুল আবেদন।  জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হবে- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ আর্চারিতে ৬ বছর পর সোনা জিতলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নন-টিচিং স্টাফ নিয়োগে নতুন নীতিমালা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ছাত্রদলের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলো পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

লাহোর, ২রা জুন, ২০২৫: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে রেকর্ড গড়ে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ালো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। এই হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ দল।
রবিবার (১লা জুন) লাহোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম ১১০ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়েন। পারভেজ ইমন ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। তানজিদ তামিমও ফিফটি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করা ১৭৫ রান।
তবে, বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস একাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। ৪৬ বলে ১০৭ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান মাত্র ১৬ বল হাতে রেখেই ১৯৭ রানের লক্ষ্য টপকে যায়। হারিসের সাথে সাইম আইয়ুবের ৪৫ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ২৬ রানও পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও পাকিস্তান দুর্দান্ত পারফর্ম করে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ রান করে ৩৭ রানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০১ রান করে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধারাবাহিকতার অভাব এবং বোলারদের দুর্বল পারফরম্যান্স পুরো সিরিজ জুড়েই চোখে পড়েছে।
এই ধবলধোলাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখার বিষয়। সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
technical
ট্যাগস :

বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলো পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

লাহোর, ২রা জুন, ২০২৫: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে রেকর্ড গড়ে ধবলধোলাইয়ের তেতো স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ালো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। এই হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ দল।
রবিবার (১লা জুন) লাহোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম ১১০ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়েন। পারভেজ ইমন ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। তানজিদ তামিমও ফিফটি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করা ১৭৫ রান।
তবে, বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস একাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন। ৪৬ বলে ১০৭ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান মাত্র ১৬ বল হাতে রেখেই ১৯৭ রানের লক্ষ্য টপকে যায়। হারিসের সাথে সাইম আইয়ুবের ৪৫ রান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের ২৬ রানও পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও পাকিস্তান দুর্দান্ত পারফর্ম করে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০১ রান করে ৩৭ রানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০১ রান করে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধারাবাহিকতার অভাব এবং বোলারদের দুর্বল পারফরম্যান্স পুরো সিরিজ জুড়েই চোখে পড়েছে।
এই ধবলধোলাই বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখার বিষয়। সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হারিস।