শিরোনাম:
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের বেতন “নবম গ্ৰেডে” উন্নীত করার দাবি শিক্ষক নেতাদের।
মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
- আপডেট সময় : ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের বেতন “নবম গ্ৰেডে” উন্নীত করার দাবি শিক্ষক নেতাদের।
২৭ অক্টোবর, সোমবার বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক জনাব মোঃ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎকালে এ দাবি করেছেন। তাঁরা কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট জানান যে, তাদের সম গ্ৰেডের পারস্পরিক বদলিযোগ্য পদের পিটিআই ইন্সপেক্টর ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তা পদ দুটি এমনকি সমগ্ৰেড ও নিম্ন গ্ৰেডের আরো কয়েকটি পদের যেমন: সাব রেজিস্ট্রার, থানা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পিটিআই সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইত্যাদির গ্ৰেড উন্নয়ন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদটি তৎকালীন সময় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী রয়ে গেছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদেরকে দ্বিস্নাতক (বিএবিএড) , স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সহ শিক্ষায় বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত ডিগ্ৰী তথা বিএড ডিগ্রী সহ চাকরিতে নিয়োগ করা হলেও এই শিক্ষকদের কে বিগত ৫৪ বছর ধরে দশম গ্রেডেই রেখে দেওয়া হয়েছে! আমরা মনে করি এটা আমাদের সাথে সুস্পষ্ট বৈষম্য! আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই। এসময় ২০১৫ পে স্কেলের বিভিন্ন অসংগতি দূর করে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন স্কেল নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনায় ২০১৫ সালের পে স্কেলে বাতিল করা টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল , ১৯৭০ সালের আইন অনুযায়ী শিক্ষা বিভাগের জন্য বর্ধিত বেতন প্রাপ্তির জটিলতার নিরসন, উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার বকেয়া উত্তোলন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ,বেতন সমতাকরণ, নববর্ষ ভাতা বৃদ্ধি, পেনশন সুবিধা শতভাগ উন্নীত করন , টেলিফোন ও ইন্টারনেট ভাতা চালু করন, শিক্ষা বিভাগকে নন ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টের আওতায় আনা এবং শিক্ষকদের দেয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রেক্ষিতে আলাদা ছুটি না দিয়ে বরং উল্টো অর্জিত হতে কর্তন বন্ধ করা , পেনশনের সময় আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষাসহ কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট মোট ১৭ টি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ ১:৬ অনুপাতে সর্বনিম্ন ২৫,০০০/- এবং সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০/- বেতন নির্ধারণ সহ ২০ টির স্থলে ১৫ টি গ্ৰেড নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।
গতকাল বেতন কমিশনের সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ০৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মোঃ ওমর ফারুক, সিনিয়র শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ মুনিরুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করীম, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির হোসেন, বিসিএস নন ক্যাডার সহকারী শিক্ষক প্রতিনিধি আল মাসুম লিয়েন(৩৪তম) এবং সালাউদ্দিন(৩৬তম) ।














