ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল; ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার। দ্বিতীয় বিবাহ করায় বাবাকে চিঠি লেখে মেয়ের আত্মহত্যা। নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে কাঠ পাচারের সময় ৫ চোরাকারবারি আটক। নওগাঁয় বালুবাহী ও পাথরবাহী দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত একজন। বগি রেখেই এলো কক্সবাজার এক্সপ্রেস, রেল চলাচল বন্ধ। রূপগঞ্জে কুলছুম মনির ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মেধাবৃত্তি ২০২৪ এর সম্মাননা প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রোভার কর্তৃক আয়োজিত “রোভার স্কাউট লিডার ওয়ার্কশপ” অনুষ্ঠিত। গ্রামের শিক্ষার্থীদের মোবাইল গেম আসক্তি ও তার পরিণতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই তাহিরপুরের ৭ ইউনিয়নে বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই

  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

১৯৯৪ সালের কথা। আমাদের গ্রামে আসগর ও আকবর নামে ২ চাচাতো ভাই ছিল। আসগরের বাবা বড় ও আকবরের বাবা ছোট। আমরা তাদেরকে ‘বড় দাদা’ ও ‘ছোট দাদা’ বলে ডাকতাম ও হাসি-রসিকতা করতাম। আমাদের এলাকায় মা-বাবা মারা গেলে কিছুদিন পর খানা (কোন এলাকায় শিন্নি বা চল্লিশাও বলে) করা হয়।

১৯৯৩ সালে বড় দাদা মারা যায় ও যথারীতি ধুমধামের সাথে খানা করা হয়। ১৯৯৪ সালে ছোট দাদা মারা যায়। খানার আয়োজনে আসগর চাচাকে ‘চিফ ম্যনেজমেন্ট’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খানার দিন ধার্য হয় ও খানা শুরু হয়। আকবর চাচা কোন কিছুর কমতি রাখেন নি। তার চিন্তা ছিল চাচার খানা থেকে বাবার খানায় সুনাম হোক। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব তো বড় দাদার ছেলের হাতে। তিনি ‘মিস ম্যনেজমেন্ট’ করে খানায় অনেক খাদ্য সামগ্রী অবশিষ্ট রাখলেন, খানায় বদনাম হলো। পরে অধিকাংশ গোস্ত-দই তিনি বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।

আমি এক চাচাকে জিজ্ঞাসা করলাম “এত খরচের পরও বদনাম হলো কেন?” চাচা বলল “বুঝতে পারোনি ভাতিজা? এর নাম ‘ভিলেজ পলিটিক্স’। আসগর চায় তার চাচার খানা থেকে বাবার খানা সুন্দর হোক।”

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বেশ কিছু ঘাপটি মেরে থাকা অনুপ্রবেশকারী যারা ঐ আসগর চাচা চরিত্রের। ঐ ধরনের আসগরদের ‘করোনা’ রোগীর মত দঊরে রেখে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আপনার হাতে নিতে হবে। আপনার অর্থের ঘাটতি নাই, অভাব শুধু সুষম বন্টনের। এডুকেশন সেক্টরে এত অব্যবস্থাপনা যে “সারা অংগে ব্যাথা, ঔষধ দেব কোথা”। এর সুষ্ঠ সমাধান একমাত্র ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এর মাধ্যমেই সম্ভব ।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! শতকরা ১ জন অসৎ শিক্ষকের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজকে অবহেলার চোখে দেখবেন না, প্লিজ। তাই দয়া করে টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করে আপনার স্বর্ণালি সময়কে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখবেন এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।

—————————-

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই

আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

১৯৯৪ সালের কথা। আমাদের গ্রামে আসগর ও আকবর নামে ২ চাচাতো ভাই ছিল। আসগরের বাবা বড় ও আকবরের বাবা ছোট। আমরা তাদেরকে ‘বড় দাদা’ ও ‘ছোট দাদা’ বলে ডাকতাম ও হাসি-রসিকতা করতাম। আমাদের এলাকায় মা-বাবা মারা গেলে কিছুদিন পর খানা (কোন এলাকায় শিন্নি বা চল্লিশাও বলে) করা হয়।

১৯৯৩ সালে বড় দাদা মারা যায় ও যথারীতি ধুমধামের সাথে খানা করা হয়। ১৯৯৪ সালে ছোট দাদা মারা যায়। খানার আয়োজনে আসগর চাচাকে ‘চিফ ম্যনেজমেন্ট’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খানার দিন ধার্য হয় ও খানা শুরু হয়। আকবর চাচা কোন কিছুর কমতি রাখেন নি। তার চিন্তা ছিল চাচার খানা থেকে বাবার খানায় সুনাম হোক। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব তো বড় দাদার ছেলের হাতে। তিনি ‘মিস ম্যনেজমেন্ট’ করে খানায় অনেক খাদ্য সামগ্রী অবশিষ্ট রাখলেন, খানায় বদনাম হলো। পরে অধিকাংশ গোস্ত-দই তিনি বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।

আমি এক চাচাকে জিজ্ঞাসা করলাম “এত খরচের পরও বদনাম হলো কেন?” চাচা বলল “বুঝতে পারোনি ভাতিজা? এর নাম ‘ভিলেজ পলিটিক্স’। আসগর চায় তার চাচার খানা থেকে বাবার খানা সুন্দর হোক।”

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বেশ কিছু ঘাপটি মেরে থাকা অনুপ্রবেশকারী যারা ঐ আসগর চাচা চরিত্রের। ঐ ধরনের আসগরদের ‘করোনা’ রোগীর মত দঊরে রেখে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আপনার হাতে নিতে হবে। আপনার অর্থের ঘাটতি নাই, অভাব শুধু সুষম বন্টনের। এডুকেশন সেক্টরে এত অব্যবস্থাপনা যে “সারা অংগে ব্যাথা, ঔষধ দেব কোথা”। এর সুষ্ঠ সমাধান একমাত্র ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এর মাধ্যমেই সম্ভব ।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! শতকরা ১ জন অসৎ শিক্ষকের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজকে অবহেলার চোখে দেখবেন না, প্লিজ। তাই দয়া করে টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করে আপনার স্বর্ণালি সময়কে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখবেন এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।

—————————-

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com