ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার ১ যুবক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজউকের রাস্তার পাশের এতিম শিক্ষার্থীদের রোপন করা অর্ধশত কলাগাছ কেটে দিয়েছে এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের বিপরীতে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে সভা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে  চা  ব্যবসায়ীকে  কুপিয়ে হত্যা রূপগঞ্জে ইউটিউব ব্লগার জিসানের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার ০১ রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক ও বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘুরছেন ৮৮ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী, প্রয়োজন ৯ হাজার কোটি টাকা। চবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক জোটগুলো থেকে মোট ১০টি প্যানেল ঘোষণা। টিসিবি পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর সামনে অপেক্ষমাণ মানুষের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জিতেছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই

  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫ ৪০২ বার পড়া হয়েছে

১৯৯৪ সালের কথা। আমাদের গ্রামে আসগর ও আকবর নামে ২ চাচাতো ভাই ছিল। আসগরের বাবা বড় ও আকবরের বাবা ছোট। আমরা তাদেরকে ‘বড় দাদা’ ও ‘ছোট দাদা’ বলে ডাকতাম ও হাসি-রসিকতা করতাম। আমাদের এলাকায় মা-বাবা মারা গেলে কিছুদিন পর খানা (কোন এলাকায় শিন্নি বা চল্লিশাও বলে) করা হয়।

১৯৯৩ সালে বড় দাদা মারা যায় ও যথারীতি ধুমধামের সাথে খানা করা হয়। ১৯৯৪ সালে ছোট দাদা মারা যায়। খানার আয়োজনে আসগর চাচাকে ‘চিফ ম্যনেজমেন্ট’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খানার দিন ধার্য হয় ও খানা শুরু হয়। আকবর চাচা কোন কিছুর কমতি রাখেন নি। তার চিন্তা ছিল চাচার খানা থেকে বাবার খানায় সুনাম হোক। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব তো বড় দাদার ছেলের হাতে। তিনি ‘মিস ম্যনেজমেন্ট’ করে খানায় অনেক খাদ্য সামগ্রী অবশিষ্ট রাখলেন, খানায় বদনাম হলো। পরে অধিকাংশ গোস্ত-দই তিনি বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।

আমি এক চাচাকে জিজ্ঞাসা করলাম “এত খরচের পরও বদনাম হলো কেন?” চাচা বলল “বুঝতে পারোনি ভাতিজা? এর নাম ‘ভিলেজ পলিটিক্স’। আসগর চায় তার চাচার খানা থেকে বাবার খানা সুন্দর হোক।”

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বেশ কিছু ঘাপটি মেরে থাকা অনুপ্রবেশকারী যারা ঐ আসগর চাচা চরিত্রের। ঐ ধরনের আসগরদের ‘করোনা’ রোগীর মত দঊরে রেখে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আপনার হাতে নিতে হবে। আপনার অর্থের ঘাটতি নাই, অভাব শুধু সুষম বন্টনের। এডুকেশন সেক্টরে এত অব্যবস্থাপনা যে “সারা অংগে ব্যাথা, ঔষধ দেব কোথা”। এর সুষ্ঠ সমাধান একমাত্র ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এর মাধ্যমেই সম্ভব ।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! শতকরা ১ জন অসৎ শিক্ষকের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজকে অবহেলার চোখে দেখবেন না, প্লিজ। তাই দয়া করে টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করে আপনার স্বর্ণালি সময়কে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখবেন এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।

—————————-

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই

আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

১৯৯৪ সালের কথা। আমাদের গ্রামে আসগর ও আকবর নামে ২ চাচাতো ভাই ছিল। আসগরের বাবা বড় ও আকবরের বাবা ছোট। আমরা তাদেরকে ‘বড় দাদা’ ও ‘ছোট দাদা’ বলে ডাকতাম ও হাসি-রসিকতা করতাম। আমাদের এলাকায় মা-বাবা মারা গেলে কিছুদিন পর খানা (কোন এলাকায় শিন্নি বা চল্লিশাও বলে) করা হয়।

১৯৯৩ সালে বড় দাদা মারা যায় ও যথারীতি ধুমধামের সাথে খানা করা হয়। ১৯৯৪ সালে ছোট দাদা মারা যায়। খানার আয়োজনে আসগর চাচাকে ‘চিফ ম্যনেজমেন্ট’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খানার দিন ধার্য হয় ও খানা শুরু হয়। আকবর চাচা কোন কিছুর কমতি রাখেন নি। তার চিন্তা ছিল চাচার খানা থেকে বাবার খানায় সুনাম হোক। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব তো বড় দাদার ছেলের হাতে। তিনি ‘মিস ম্যনেজমেন্ট’ করে খানায় অনেক খাদ্য সামগ্রী অবশিষ্ট রাখলেন, খানায় বদনাম হলো। পরে অধিকাংশ গোস্ত-দই তিনি বাড়ীতে নিয়ে গেলেন।

আমি এক চাচাকে জিজ্ঞাসা করলাম “এত খরচের পরও বদনাম হলো কেন?” চাচা বলল “বুঝতে পারোনি ভাতিজা? এর নাম ‘ভিলেজ পলিটিক্স’। আসগর চায় তার চাচার খানা থেকে বাবার খানা সুন্দর হোক।”

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! আপনার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে বেশ কিছু ঘাপটি মেরে থাকা অনুপ্রবেশকারী যারা ঐ আসগর চাচা চরিত্রের। ঐ ধরনের আসগরদের ‘করোনা’ রোগীর মত দঊরে রেখে ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আপনার হাতে নিতে হবে। আপনার অর্থের ঘাটতি নাই, অভাব শুধু সুষম বন্টনের। এডুকেশন সেক্টরে এত অব্যবস্থাপনা যে “সারা অংগে ব্যাথা, ঔষধ দেব কোথা”। এর সুষ্ঠ সমাধান একমাত্র ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ এর মাধ্যমেই সম্ভব ।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! শতকরা ১ জন অসৎ শিক্ষকের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজকে অবহেলার চোখে দেখবেন না, প্লিজ। তাই দয়া করে টিউশন ফিস সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করে আপনার স্বর্ণালি সময়কে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখবেন এ প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।

—————————-

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

dr.1979sharif@gmail.com