বাংলাদেশ ১ম টি–টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয় পেলেন।

- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ১ম টি–টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয় পেলেন।
মাত্র ১১১ রানের লক্ষ্য । এরপরও শুরুতেই তানজিদ হাসান তামিম আর অধিনায়ক লিটন দাস মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন তাওহিদ হৃদয় আর পারভেজ হোসেন ইমন। পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন পারভেজ হোসেন।
আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। পারভেজ হোসেনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়া হৃদয় ৩৭ বলে করেছেন ৩৬ রান। ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ৪৫ বলে করতে হবে ৩১ রান। পারভেজ অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ জয় পেল বাংলাদেশ। মিরপুরে আজ প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ২৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে সালমান মির্জাকে চার মেরে বাংলাদেশকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে দেন জাকের আলী।
জাকের ১০ বলে ১৫ ও আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ওপেনার পারভেজ হোসেন ৩৯ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
শেরে বাংলায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথমেই স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি।
শেখ মেহেদী প্রথম ওভারে সুযোগও তৈরি করেছিলেন। চতুর্থ বলে স্লগ সুইপ খেলতে গেলে বল উঠে গিয়েছিল আকাশে। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। ৪ রানে জীবন পান ফখর।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করেন তাসকিনই। বল হাতে নিয়ে প্রথম ৪ বলেই দিয়ে বসেন ৯ রান। তবে পঞ্চম বলে উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ফ্লিক খেলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন সাইম আইয়ুব (৪ বলে ৬)।
তৃতীয় ওভারে শেখ মেহেদীকে হাঁকাতে গিয়ে কাউ কর্নারে শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ হন মোহাম্মদ হারিস (৩ বলে ৪)। ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পঞ্চম ওভারে সালমান আগা খেলতেই পারছিলেন না তানজিম হাসান সাকিবকে। টানা চার বল মিস করার পর চিকি শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক (৯ বলে ৩)।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই হাসান নওয়াজ ফেরেন সাজঘরে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর ফখরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৩)। স্ট্রাইকিং এন্ডের কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ফখর যখন ফেরত পাঠান, ততক্ষণে লিটন দাস থ্রো করেছেন ননস্ট্রাইকে। বোলার শেখ মেহেদী ভেঙে দেন স্টাম্প। পঞ্চাশের আগে (৪৬ রানে) পড়ে পাকিস্তানের ৫ উইকেট।
একটা প্রান্ত ধরে ফখর জামান দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে থামতে হয় রানআউটে। মোস্তাফিজের ওভারে খুশদিল দুই নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ফখরের সঙ্গে, তাসকিনের থ্রোতে স্ট্রাইকিং এন্ডের স্টাম্প ভাঙেন লিটন। ৩৪ বলে ৪ চার আর ১ ছক্কায় ফখরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
খুশদিল শাহ ২৩ বলে ১৮ করে তিনি হন মোস্তাফিজের শিকার। স্লোয়ারে মিসটাইমিং করে মিডঅফে রিশাদের ক্যাচ হন খুশদিল। ৯ বলে ৫ করে তাসকিনকে উইকেট দেন ফাহিম আশরাফ।
তাসকিন আহমেদ ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে শিকার করেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট তানজিম হাসান সাকিব আর শেখ মেহেদী হাসানের।