নাড়ির টানে কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালি টার্মিনালে মানুষের ভিড়।

- আপডেট সময় : ০৭:২০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫ ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা । আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢল নেমেছে ঘরমুখী মানুষের।
কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্টেশনে প্রবেশ করছেন দূরপাল্লার সাধারণ যাত্রীরা।
আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি যেতে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী টার্মিনালে উপস্থিত হয়েছেন। কারো হাতে অগ্রিম টিকিট, আবার কারো হাতে ব্যাগ কিংবা লাগেজ এভাবেই ঢাকা ছাড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ এই অঞ্চলের ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সবার মুখে আনন্দের ছাপ। কারও গন্তব্য বরিশাল, পটুয়াখালী, আবার কেউ যশোর। অনেকে সাতক্ষীরা, কেউ গোপালগঞ্জ, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট কিংবা বেনাপোল যাচ্ছেন ঈদ করতে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-বরিশাল, খুলনা মহাসড়ক ও সিলেট, চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় বাড়ছে। ছোট-বড় যানবাহনের চাপ বাড়ছে পদ্মসেতুতেও। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এখনও স্বাভাবিক বলা চলে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও জনপথের মোড়ে আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের খুব ভিড়। প্রায় প্রতিটি কাউন্টারেই টিকিট নিয়ে চলছে দরদাম। দর কষাকষির মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ঈদ এলেই ভাড়া বেড়ে যায়। দু-একটি পরিবহন ছাড়া কোথাও টিকিটের সংকট নেই। তবুও কিছু পরিবহন মূল ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশিতে টিকিট বিক্রি করছে। একসঙ্গে তিন-চারজন গেলে দামাদামি করে কিছু টাকা কম নিচ্ছে।
ঈদে টানা ১০ দিনের লম্বা ছুটি। তাই বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ নানা মাধ্যমে বাড়ির দিকে ছুটছে নগরবাসী। সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়সহ আছে নানা অভিযোগ। আবার অনেকে বলছেন, এবারের ব্যবস্থাপনা অন্যবারের চেয়ে ভালো।
রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথে তেমন জ্যাম না থাকলেও সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী প্রবেশের ক্ষেত্রে যানজটের ধাক্কা সামাল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথগুলো হচ্ছে গুলিস্তান-সায়েদাবাদ-যাত্রীবাড়ী, দোলাইপাড় মোড়-জুরাইরেলক্রসিং, বংশাল মোড়-বাবুবাজার ব্রিজ, গাবতলী মোড়-আমিনবাজার ব্রিজ,আব্দুল্লাপুর মোড়-কামারপাড়া, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড় ওসাইনবোর্ড-কাঁচপুর ব্রিজ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটাই স্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা। পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন সেনাসদস্যরাও।
এছাড়া চুরি-ছিনতাইসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘব করে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির।