ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
নবীন চারুশিল্পীদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে খুলনা আর্ট একাডেমির ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরের পূর্বধূইর পশ্চিম ইউনিয়ন জামাায়াত ইসলামী উদ্যোগে নির্বাচনী সাধারণ সভা.  মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মধ্যকার ব্যবধান দূর করতে হবে। চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের দূষণ মোকাবেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি:  বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুলের সমর্থনে জনসমাবেশ নাসিরনগর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন  বটিয়াঘাটায় নবাগত ইউএনও’ র যোগদান  খুলনা কে, ডি, এ  খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ: -অধ্যাপক আহসানুল্লাহ নাসিরনগরে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় টাইগারদের।

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হারলেও পাকিস্তানের সাথে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় টাইগারদের।

পাকিস্তানের কাছে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হেরেছে তারা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও সফরকারীদের ধবলধোলাই করতে পারেনি টাইগাররা।

২৪ জুলাই  মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। দলের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব এবং সাহিবজাদা ফারহানের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান । ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করেছেন দুজন। তাদের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের ফায়দাটা সুদে-আসলে লুটেছে দল। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তোলে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে শেষেও চলেছে দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিং। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে দলের বোর্ডে রান উঠেছে দ্রুত গতিতে। বেশি মারমুখি ছিলেন সাহিবজাদা ফারহান। ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে ৮২ রান। ফারহান তুলে ফেলেন ফিফটি। ১৫ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন সাইম।

আরেক ওপেনার ফারহান দলের ৯৩ রানের মাথাতে ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন। দুজনকেই ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। দুই ওপেনার যতটা মারমুখি ছিলেন তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস যেন ততটাই ধীরে চলো নীতিতে এগিয়েছেন। ১৪ বলে ৫ রান করা হারিসকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর চারে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়েছেন হাসান নওয়াজ। তবে অত বেশি লম্বা হয়নি তার ইনিংস। ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলা নওয়াজ ফিরেছেন সাজঘরে দলের ১৩১ রানের মাথায়। তাকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম।

শুরুর টর্নেডোর পর দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন টাইগার বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে পাকিস্তানের রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। শেষ দিকে পাকিস্তানের হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন সালমান আলী এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেছেন নওয়াজ। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট তোলেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মাত্র ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জবাব দিতে নেমে দলের বোর্ডে রান ওঠার আগেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২ বল খেলে সাজঘরে ফিরে গেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে নেমে অধিনায়ক লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি। ৮ বলে ৮ রান করে দলের ১০ রানের মাথাতে বিদায় নেন লিটন। এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েই গেছে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ বলে ১ রান করেন জাকের আলী অনিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদী হাসানও। ২ বল খেলে সাজঘরে ফিরেছেন মেহেদী। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ, উইকেট হারিয়েছে ৫টি।

ব্যাটিং দুর্দশা পাওয়ারপ্লে শেষেও কাটেনি। ক্রিজে এসে দাড়াতে পারছিলেন না কেউই। ওপেনার নাঈম শেখ ধীর ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। শেষ দিকে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচে হারের ব্যবধান কমলেও জয়ের দেখা আর পায়নি বাংলাদেশ। শেষমেশ ১০৪ রানের মাথাতে থামে বাংলাদেশ। পাকিস্তান তুলে নেয় ৭৪ রানের বড় জয়। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে টিকে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩৪ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।

পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন সালমান মির্জা। এই জয়ের ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে পাকিস্তান। তবে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।

ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে শাহিবজাদা ফারহানের হাতে। তবে সিরিজসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের জাকের আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় টাইগারদের।

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হারলেও পাকিস্তানের সাথে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় টাইগারদের।

পাকিস্তানের কাছে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানে হেরেছে তারা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও সফরকারীদের ধবলধোলাই করতে পারেনি টাইগাররা।

২৪ জুলাই  মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। দলের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব এবং সাহিবজাদা ফারহানের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান । ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করেছেন দুজন। তাদের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লের ফায়দাটা সুদে-আসলে লুটেছে দল। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তোলে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে শেষেও চলেছে দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিং। তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে দলের বোর্ডে রান উঠেছে দ্রুত গতিতে। বেশি মারমুখি ছিলেন সাহিবজাদা ফারহান। ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে ৮২ রান। ফারহান তুলে ফেলেন ফিফটি। ১৫ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন সাইম।

আরেক ওপেনার ফারহান দলের ৯৩ রানের মাথাতে ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন। দুজনকেই ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। দুই ওপেনার যতটা মারমুখি ছিলেন তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস যেন ততটাই ধীরে চলো নীতিতে এগিয়েছেন। ১৪ বলে ৫ রান করা হারিসকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর চারে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়েছেন হাসান নওয়াজ। তবে অত বেশি লম্বা হয়নি তার ইনিংস। ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলা নওয়াজ ফিরেছেন সাজঘরে দলের ১৩১ রানের মাথায়। তাকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম।

শুরুর টর্নেডোর পর দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন টাইগার বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে পাকিস্তানের রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। শেষ দিকে পাকিস্তানের হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন সালমান আলী এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেছেন নওয়াজ। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় পাকিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট তোলেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মাত্র ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জবাব দিতে নেমে দলের বোর্ডে রান ওঠার আগেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২ বল খেলে সাজঘরে ফিরে গেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিনে নেমে অধিনায়ক লিটন দাসও সুবিধা করতে পারেননি। ৮ বলে ৮ রান করে দলের ১০ রানের মাথাতে বিদায় নেন লিটন। এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েই গেছে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ বলে ১ রান করেন জাকের আলী অনিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদী হাসানও। ২ বল খেলে সাজঘরে ফিরেছেন মেহেদী। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ, উইকেট হারিয়েছে ৫টি।

ব্যাটিং দুর্দশা পাওয়ারপ্লে শেষেও কাটেনি। ক্রিজে এসে দাড়াতে পারছিলেন না কেউই। ওপেনার নাঈম শেখ ধীর ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। শেষ দিকে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচে হারের ব্যবধান কমলেও জয়ের দেখা আর পায়নি বাংলাদেশ। শেষমেশ ১০৪ রানের মাথাতে থামে বাংলাদেশ। পাকিস্তান তুলে নেয় ৭৪ রানের বড় জয়। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে টিকে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩৪ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।

পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন সালমান মির্জা। এই জয়ের ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে পাকিস্তান। তবে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।

ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে শাহিবজাদা ফারহানের হাতে। তবে সিরিজসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের জাকের আলী।