মঙ্গলবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় হাজারো পানিবন্দিদের মাঝে শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন করেন। পরে বটতলা বেরীবাঁধ এলাকায় সেচ সুবিধার্থে অতিরিক্ত দুটি পাম্প উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম, পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল কর্মকর্তা তাছবীর হোসেন, রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসির মিয়া, সচিব খোরশেদ আলমসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নেতাকর্মীরা।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জে এমন জলাবদ্ধতা কখনো হয়নি। পাউবো খালগুলো বেদখল হওয়ায় এ সমস্যা তৈরী হয়েছে। তাই খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি। পরিবেশ নষ্ট করলে আমরা আইনি শাস্তি দিতে বাধ্য হবো।
এ সময় স্থানীয়রা রূপগঞ্জ অঞ্চলে পাউবো কর্মকর্তারা অফিস করেন না মর্মে অভিযোগ করলে ডিসি তার জবাবে বলেন, রূপগঞ্জে নিয়মিত অফিস না করলেও তারা মাঠে কাজ করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ জেলা প্রশাসনের নজরদারীর অভাব ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারনে খালগুলো বেদখল হয়ে যায়। এসব নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেও সুরাহা পায়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে গোলাকান্দাইল, তারাবো,মুড়াপাড়া, ভুলতাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও পৌর অঞ্চলের লাখো বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে থাকে।