ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল; ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার। দ্বিতীয় বিবাহ করায় বাবাকে চিঠি লেখে মেয়ের আত্মহত্যা। নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে কাঠ পাচারের সময় ৫ চোরাকারবারি আটক। নওগাঁয় বালুবাহী ও পাথরবাহী দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত একজন। বগি রেখেই এলো কক্সবাজার এক্সপ্রেস, রেল চলাচল বন্ধ। রূপগঞ্জে কুলছুম মনির ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মেধাবৃত্তি ২০২৪ এর সম্মাননা প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রোভার কর্তৃক আয়োজিত “রোভার স্কাউট লিডার ওয়ার্কশপ” অনুষ্ঠিত। গ্রামের শিক্ষার্থীদের মোবাইল গেম আসক্তি ও তার পরিণতি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! জনগণ ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ চাই তাহিরপুরের ৭ ইউনিয়নে বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই  চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত, ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই  চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত, ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

২০২৫-২৬  শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুলাই, চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

বৃহস্পতিবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না, এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে।

এবারও  আগের নিয়মেই অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। নির্ধারিত আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ থাকলেও সার্বিকভাবে কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে বিপুলসংখ্যক আসন খালি থাকবে। এবার পাসের হার কম। তাই পাস করা সব শিক্ষার্থী কলেজ বা মাদ্রাসায় ভর্তি হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাড়ে ১৩ লাখের মতো আসন খালি থাকবে।

অন্যান্য বছরও একাদশ শ্রেণিতে আসন খালি থাকে। কিন্তু এবার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হওয়ার কারণে এই সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। অনেক কলেজ-মাদ্রাসা কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক শিক্ষার্থী পাবে না। এর ফলে কলেজগুলো, বিশেষ করে বেসরকারি কলেজ-মাদ্রাসাগুলো আর্থিকসহ নানা সমস্যায় পড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই  চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত, ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই  চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত, ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

২০২৫-২৬  শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৩০ জুলাই, চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

বৃহস্পতিবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না, এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে।

এবারও  আগের নিয়মেই অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। নির্ধারিত আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ থাকলেও সার্বিকভাবে কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোতে বিপুলসংখ্যক আসন খালি থাকবে। এবার পাসের হার কম। তাই পাস করা সব শিক্ষার্থী কলেজ বা মাদ্রাসায় ভর্তি হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাড়ে ১৩ লাখের মতো আসন খালি থাকবে।

অন্যান্য বছরও একাদশ শ্রেণিতে আসন খালি থাকে। কিন্তু এবার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হওয়ার কারণে এই সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। অনেক কলেজ-মাদ্রাসা কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক শিক্ষার্থী পাবে না। এর ফলে কলেজগুলো, বিশেষ করে বেসরকারি কলেজ-মাদ্রাসাগুলো আর্থিকসহ নানা সমস্যায় পড়তে পারে।