ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
টাঙ্গাইলে দেশীয় মাছ রক্ষায় বিশেষ অভিযান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ। ২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সকল কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখার নির্দেশনা HSC ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন, পরীক্ষা শুরু আগামী ২৬ জুন। চুনারুঘাটের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ইসমাইল মুন্সী উচ্চ বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির আকুল আবেদন।  জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হবে- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ আর্চারিতে ৬ বছর পর সোনা জিতলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নন-টিচিং স্টাফ নিয়োগে নতুন নীতিমালা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ছাত্রদলের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি।

শেষ পর্যন্ত আইপিএলের ট্রফি কোহলির হাতে

১৮ বছর ধরে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছেন এই ট্রফির জন্য।

মোঃ রেহান উদ্দীন
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ আইপিএল ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বেঙ্গালুরু। কোহলিও ভেবেছিলেন আর বুঝি হবে না! এই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে আইপিএলের শুরু থেকে চেষ্টা তো আর কম করেননি। কিন্তু এবার শেষ পর্যন্ত আরাধ্য ট্রফিটির দেখা পাওয়া, গ্যালারিভর্তি দর্শকদের সামনে সেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরা—কোহলির কাছে অসাধারণ এক অনুভূতি, ‘এই দিনটির দেখা পাব কখনো ভাবিনি। শেষ বলটি হওয়ার পরই আবেগ ভর করেছে। এটা আমার কাছে অনেক কিছু। দলটির জন্য আমি নিজের প্রতি আউন্স এনার্জি সমর্পণ করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা জিততে পারা অসাধারণ ব্যাপার।’

ক্যারিয়ারে অর্জন কম নেই। গত ১২ মাসের কথাই ধরুন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছেন। ১৮ বছরে ২৬৭ ম্যাচ ও ৮ হাজার ৬৬১ রানের বিনিময়ে পাওয়া আইপিএল শিরোপাকে এসব সাফল্যের পাশেই রাখছেন কোহলি। শুধু তা–ই নয়, বেঙ্গালুরুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে কোহলি বলেছেন, ১৮ বছর ধরে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছিল। এই দলটির প্রতি অনুগত থেকেছি। এমন কিছু মুহূর্ত এসেছে, যখন অন্য কিছুও ভেবেছি। তবু এই দলের সঙ্গে থেকেছি, আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। সব সময় তাদের হয়েই আইপিএল জেতার স্বপ্ন দেখেছি।’

পাঞ্জাব কিংসের ইনিংসে শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলের পরই আবেগ পেয়ে বসে বিরাট কোহলিকে। জয়ের জন্য পাঞ্জাবের দরকার তখন ৪ বলে ২৯—বোলার জশ হ্যাজলউড অবিশ্বাস্য কোনো ভুল করে না বসলে এখান থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর না জেতার কোনো কারণ নেই। তখন দুহাতে মুখটা একবার ঢেকে ফেলেন কোহলি। ১৮টি মৌসুম ধরে যে ট্রফির অপেক্ষায় ছিলেন, সেটা অবশেষে অর্জন করার দোরগোড়ায় পৌঁছে কেমন লেগেছে বেঙ্গালুরু তারকার?

পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে আইপিএল জয়ের পর ধারাভাষ্যকারকে সে কথাই বলেছেন কোহলি, ‘এ জয় দলের জন্য যতটা, সমর্থকদের জন্য ততটাই। দীর্ঘ ১৮ বছর কেটে গেল। এই দলকে আমি নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দিয়েছি। প্রতি মৌসুমে আইপিএল ট্রফি জেতার চেষ্টা করেছি, নিজের সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তের দেখা পাওয়া আমার কাছে অবিশ্বাস্য অনুভূতি।

আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত কোহলি বেঙ্গালুরুতেই খেলতে চান, ‘অন্য কারও হয়ে জেতার চেয়ে এটা বিশেষ কিছু। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। যেটা বলেছি, এই দলটির হয়ে আমি আইপিএলে নিজের শেষ দিন পর্যন্ত খেলব।’

বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ রান (৬৫৭) নিয়ে এবারের মৌসুম শেষ করলেন কোহলি। ক্যারিয়ারে সব সময় বড় টুর্নামেন্ট ও বড় মুহূর্তগুলো জিততে চেয়েছেন কোহলি। তাতে সাফল্যের ঝুলিও কম ভারী হয়নি। শুধু আইপিএল ট্রফিটাই এত দিন ছিল না। কাল রাতে আহমেদাবাদে তার দেখা পেয়ে যাওয়ার পর কোহলি কতটা নির্ভার, সেটা তাঁর মুখেই শুনুন, ‘আমি বড় টুর্নামেন্ট, বড় বড় মুহূর্ত জিততে চেয়েছি, এত দিন আইপিএল ট্রফি ছিল না এবং আজ রাতে শিশুর মতো ঘুমাব আমি।

এবার আইপিএলের উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন সাই সুদর্শন। বাঁহাতি এই ওপেনার রান করেছেন ৭৫৯, টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। তাই উদীয়মান খেলোয়াড়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের পুরস্কার ‘পার্পল ক্যাপ’টাও জিতেছেন গুজরাটের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। সাই জিতেছেন ‘ফ্যান্টাসি কিং অব সিজন’ পুরস্কারও।

টুর্নামেন্টের ‘সুপার স্ট্রাইকার’ হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার রান করেছেন ২৫২, স্ট্রাইকরেট ২০৬.৫৫। এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২৫ উইকেট পেয়েছেন গুজরাট পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তাই তাঁর মাথায় উঠেছে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’।

সর্বোচ্চ ছক্কা এসেছে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে, ৪০টি। ‘সুপার সিক্সেস অব দ্য সিজন’ পুরস্কার পেয়েছেন এ ক্যারিবিয়ান। সবচেয়ে বেশি ৮৮টি চার মেরেছেন সাই সুদর্শন। তাই বেশি চার মারার পুরস্কারটিও জিতেছেন সাই।

সবচেয়ে বেশি ‘ডট’ বল দেওয়ার পুরস্কার উঠেছে গুজরাটের মোহাম্মদ সিরাজের হাতে। সেরা ক্যাচের পুরস্কারটি  কামিন্দু মেন্ডিস জিতেছেন। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রেভিসের শট লং অফে দাঁড়িয়ে দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন মেন্ডিস। ফেরার প্লে–অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ধোনির চেন্নাই।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সূর্যকুমার যাদব। মুম্বাইয়ের এই ব্যাটসম্যান টানা ১৫ ম্যাচে ২৫ বা এর চেয়ে বেশি রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা রেকর্ড।

আইপিএল ২০২৫ এর পুরস্কার তালিকাঃ

১. চ্যাম্পিয়ন- বেঙ্গালুরু (ট্রফি ও ২০ কোটি ভারতীয় রুপি)।

২. রানার্সআপ- পাঞ্জাব কিংস (শিল্ড ও ১২.৫ কোটি রুপি)।

৩. অরেঞ্জ ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি রান, ৭৫৯ রান)- সাই সুদর্শন (স্মারক ও ১০ লাখ রুপি)।

৪. পার্পল ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি উইকেট, ২৫টি)- প্রসিধ কৃষ্ণা (স্মারক ও ১০ লাখ রুপি)।

৫. প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল – ক্রুণাল পান্ডিয়া (ট্রফি ও ৫ লাখ রুপি)।

৬. উদীয়মান ক্রিকেটার- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

৭. টুর্নামেন্টসেরা ক্যাচ- কামিন্দু মেন্ডিস (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

৮. টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার – সূর্যকুমার যাদব (ট্রফি ও ১৫ লাখ রুপি)।

৯. সুপার স্ট্রাইকার্স অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ- জিতেশ শর্মা (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১০. ফ্যান্টাসি কিং অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ- শশাঙ্ক সিং (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি।

১১. সুপার সিক্সেস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (সবচেয়ে বেশি ছক্কা)- শশাঙ্ক সিং (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১২. অন দ্য গো ফোরস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (ফাইনালে সবচেয়ে বেশি চার)- প্রিয়াংশ আর্য (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১৩. গ্রিন ডট বলস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ডট বল)- ক্রুণাল পান্ডিয়া (স্মারক ও ১ লাখ রুপি)।

১৪. সুপার স্ট্রাইকার্স অব দ্য টুর্নামেন্ট- বৈভব সূর্যবংশী (টাটা কার্ভ গাড়ি)।

১৫. ফ্যান্টাসি কিং অব দ্য টুর্নামেন্ট- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৬. সুপার সিক্সেস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা)- নিকোলাস পুরান (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৭. অন দ্য গো ফোরস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চার)- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৮ গ্রিন ডট বলস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ডট বল) – মোহাম্মদ সিরাজ (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৯. ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড- চেন্নাই সুপার কিংস (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

২০. সেরা মাঠ ও পিচ- দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম (ট্রফি ও ৫০ লাখ রুপি)।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
superadmin
ট্যাগস :

শেষ পর্যন্ত আইপিএলের ট্রফি কোহলির হাতে

১৮ বছর ধরে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছেন এই ট্রফির জন্য।

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ আইপিএল ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বেঙ্গালুরু। কোহলিও ভেবেছিলেন আর বুঝি হবে না! এই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে আইপিএলের শুরু থেকে চেষ্টা তো আর কম করেননি। কিন্তু এবার শেষ পর্যন্ত আরাধ্য ট্রফিটির দেখা পাওয়া, গ্যালারিভর্তি দর্শকদের সামনে সেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরা—কোহলির কাছে অসাধারণ এক অনুভূতি, ‘এই দিনটির দেখা পাব কখনো ভাবিনি। শেষ বলটি হওয়ার পরই আবেগ ভর করেছে। এটা আমার কাছে অনেক কিছু। দলটির জন্য আমি নিজের প্রতি আউন্স এনার্জি সমর্পণ করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা জিততে পারা অসাধারণ ব্যাপার।’

ক্যারিয়ারে অর্জন কম নেই। গত ১২ মাসের কথাই ধরুন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছেন। ১৮ বছরে ২৬৭ ম্যাচ ও ৮ হাজার ৬৬১ রানের বিনিময়ে পাওয়া আইপিএল শিরোপাকে এসব সাফল্যের পাশেই রাখছেন কোহলি। শুধু তা–ই নয়, বেঙ্গালুরুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে কোহলি বলেছেন, ১৮ বছর ধরে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছিল। এই দলটির প্রতি অনুগত থেকেছি। এমন কিছু মুহূর্ত এসেছে, যখন অন্য কিছুও ভেবেছি। তবু এই দলের সঙ্গে থেকেছি, আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। সব সময় তাদের হয়েই আইপিএল জেতার স্বপ্ন দেখেছি।’

পাঞ্জাব কিংসের ইনিংসে শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলের পরই আবেগ পেয়ে বসে বিরাট কোহলিকে। জয়ের জন্য পাঞ্জাবের দরকার তখন ৪ বলে ২৯—বোলার জশ হ্যাজলউড অবিশ্বাস্য কোনো ভুল করে না বসলে এখান থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর না জেতার কোনো কারণ নেই। তখন দুহাতে মুখটা একবার ঢেকে ফেলেন কোহলি। ১৮টি মৌসুম ধরে যে ট্রফির অপেক্ষায় ছিলেন, সেটা অবশেষে অর্জন করার দোরগোড়ায় পৌঁছে কেমন লেগেছে বেঙ্গালুরু তারকার?

পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে আইপিএল জয়ের পর ধারাভাষ্যকারকে সে কথাই বলেছেন কোহলি, ‘এ জয় দলের জন্য যতটা, সমর্থকদের জন্য ততটাই। দীর্ঘ ১৮ বছর কেটে গেল। এই দলকে আমি নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দিয়েছি। প্রতি মৌসুমে আইপিএল ট্রফি জেতার চেষ্টা করেছি, নিজের সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তের দেখা পাওয়া আমার কাছে অবিশ্বাস্য অনুভূতি।

আইপিএলে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত কোহলি বেঙ্গালুরুতেই খেলতে চান, ‘অন্য কারও হয়ে জেতার চেয়ে এটা বিশেষ কিছু। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। যেটা বলেছি, এই দলটির হয়ে আমি আইপিএলে নিজের শেষ দিন পর্যন্ত খেলব।’

বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ রান (৬৫৭) নিয়ে এবারের মৌসুম শেষ করলেন কোহলি। ক্যারিয়ারে সব সময় বড় টুর্নামেন্ট ও বড় মুহূর্তগুলো জিততে চেয়েছেন কোহলি। তাতে সাফল্যের ঝুলিও কম ভারী হয়নি। শুধু আইপিএল ট্রফিটাই এত দিন ছিল না। কাল রাতে আহমেদাবাদে তার দেখা পেয়ে যাওয়ার পর কোহলি কতটা নির্ভার, সেটা তাঁর মুখেই শুনুন, ‘আমি বড় টুর্নামেন্ট, বড় বড় মুহূর্ত জিততে চেয়েছি, এত দিন আইপিএল ট্রফি ছিল না এবং আজ রাতে শিশুর মতো ঘুমাব আমি।

এবার আইপিএলের উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন সাই সুদর্শন। বাঁহাতি এই ওপেনার রান করেছেন ৭৫৯, টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। তাই উদীয়মান খেলোয়াড়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের পুরস্কার ‘পার্পল ক্যাপ’টাও জিতেছেন গুজরাটের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। সাই জিতেছেন ‘ফ্যান্টাসি কিং অব সিজন’ পুরস্কারও।

টুর্নামেন্টের ‘সুপার স্ট্রাইকার’ হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার রান করেছেন ২৫২, স্ট্রাইকরেট ২০৬.৫৫। এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২৫ উইকেট পেয়েছেন গুজরাট পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তাই তাঁর মাথায় উঠেছে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’।

সর্বোচ্চ ছক্কা এসেছে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে, ৪০টি। ‘সুপার সিক্সেস অব দ্য সিজন’ পুরস্কার পেয়েছেন এ ক্যারিবিয়ান। সবচেয়ে বেশি ৮৮টি চার মেরেছেন সাই সুদর্শন। তাই বেশি চার মারার পুরস্কারটিও জিতেছেন সাই।

সবচেয়ে বেশি ‘ডট’ বল দেওয়ার পুরস্কার উঠেছে গুজরাটের মোহাম্মদ সিরাজের হাতে। সেরা ক্যাচের পুরস্কারটি  কামিন্দু মেন্ডিস জিতেছেন। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রেভিসের শট লং অফে দাঁড়িয়ে দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন মেন্ডিস। ফেরার প্লে–অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ধোনির চেন্নাই।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সূর্যকুমার যাদব। মুম্বাইয়ের এই ব্যাটসম্যান টানা ১৫ ম্যাচে ২৫ বা এর চেয়ে বেশি রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা রেকর্ড।

আইপিএল ২০২৫ এর পুরস্কার তালিকাঃ

১. চ্যাম্পিয়ন- বেঙ্গালুরু (ট্রফি ও ২০ কোটি ভারতীয় রুপি)।

২. রানার্সআপ- পাঞ্জাব কিংস (শিল্ড ও ১২.৫ কোটি রুপি)।

৩. অরেঞ্জ ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি রান, ৭৫৯ রান)- সাই সুদর্শন (স্মারক ও ১০ লাখ রুপি)।

৪. পার্পল ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি উইকেট, ২৫টি)- প্রসিধ কৃষ্ণা (স্মারক ও ১০ লাখ রুপি)।

৫. প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল – ক্রুণাল পান্ডিয়া (ট্রফি ও ৫ লাখ রুপি)।

৬. উদীয়মান ক্রিকেটার- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

৭. টুর্নামেন্টসেরা ক্যাচ- কামিন্দু মেন্ডিস (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

৮. টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার – সূর্যকুমার যাদব (ট্রফি ও ১৫ লাখ রুপি)।

৯. সুপার স্ট্রাইকার্স অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ- জিতেশ শর্মা (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১০. ফ্যান্টাসি কিং অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ- শশাঙ্ক সিং (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি।

১১. সুপার সিক্সেস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (সবচেয়ে বেশি ছক্কা)- শশাঙ্ক সিং (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১২. অন দ্য গো ফোরস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (ফাইনালে সবচেয়ে বেশি চার)- প্রিয়াংশ আর্য (ট্রফি ও ১ লাখ রুপি)।

১৩. গ্রিন ডট বলস অব দ্য ফাইনাল ম্যাচ (ফাইনালে সবচেয়ে বেশি ডট বল)- ক্রুণাল পান্ডিয়া (স্মারক ও ১ লাখ রুপি)।

১৪. সুপার স্ট্রাইকার্স অব দ্য টুর্নামেন্ট- বৈভব সূর্যবংশী (টাটা কার্ভ গাড়ি)।

১৫. ফ্যান্টাসি কিং অব দ্য টুর্নামেন্ট- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৬. সুপার সিক্সেস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা)- নিকোলাস পুরান (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৭. অন দ্য গো ফোরস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চার)- সাই সুদর্শন (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৮ গ্রিন ডট বলস অব দ্য টুর্নামেন্ট (টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ডট বল) – মোহাম্মদ সিরাজ (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

১৯. ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড- চেন্নাই সুপার কিংস (ট্রফি ও ১০ লাখ রুপি)।

২০. সেরা মাঠ ও পিচ- দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম (ট্রফি ও ৫০ লাখ রুপি)।