শিরোনাম:
চার মাস পনেরো দিনে কোরআন হেফজ করলেন ফজলে রাব্বুল।

মোঃ আছমত আলী
- আপডেট সময় : ০১:৫১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ঃ
চার মাস পনেরো দিনে কোরআন হেফজ করলেন ফজলে রাব্বুল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের মোঁ ফরিদ মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বুল শ্রীঘর চকবাজার হযরত শাহজালাল ( রাঃ) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল মাদ্রাসা থেকে চার মাস পনেরো দিনে কোরআন হেফজ করায় মাদ্রসার পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
২৬ জুলাই দুপুরে শ্রীঘর গ্রামের মোঁ ফরিদ মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বুল শ্রীঘর চকবাজার হযরত শাহজালাল ( রাঃ) দারুল সুন্নাহ হাফিজিয়া হিফজুল কোরআন মডেল মাদ্রাসা থেকে মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাঁতমন্ডল গাইছিয়া মিরানিয়া নুরিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা মুফতি কাজী আলাউদ্দিন আহমেদ আল- কাদরি।
এ অনুষ্ঠানে তার শিক্ষকরা বলেন, শিশু ফজলে রাব্বুল ঈমান, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মাত্র চার মাস পনেরো দিনে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআনুল কারিম হেফজ সম্পন্ন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উপজেলাবাসীকে। বয়সে অল্প হলেও মননে পরিপক্ব ফজলে রাব্বুল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কোরআন চর্চা করতেন তিনি। তাঁর এই বিস্ময়কর অর্জনে খুশি পরিবার, শিক্ষক ও ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী।
ফজলে রাব্বুলের হিফজ শিক্ষক হাফেজ মোঃ জাকারিয়া বলেন, “শিশুটির মধ্যে অধ্যবসায়, নিয়মানুবর্তিতা ও একনিষ্ঠতা অসাধারণ। আমরা শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম সে ব্যতিক্রমী মেধার অধিকারী।”
তার পিতা-মাতা জানান, ছোটবেলা থেকেই ছেলের ধর্মচর্চা ও কোরআনের প্রতি অনুরাগ ছিল প্রবল। তারা সন্তানকে আলেম ও দীনী খেদমতে নিয়োজিত একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান।
ফজলে রাব্বুল বলেন, “আল্লাহর রহমত ও শিক্ষকদের সহায়তায় আমি এ পর্যন্ত এসেছি। ভবিষ্যতে আরও কোরআনের খেদমত করতে চাই।
আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন, দাঁতমন্ডল গাইছিয়া মিরানিয়া নুরিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা মুফতি কাজী আলাউদ্দিন আহমেদ আল- কাদরি।