নারী কোটা থাকছে না; আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা
এমপিওভুক্ত এক লাখ শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু ২২ জুন

- আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে শূন্য থাকা এক লাখ ৮২২টি শিক্ষক নিয়োগে আগামী ২২ জুন থেকে আবেদন করা যাবে।
অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের সুপারিশ পাওয়া আগ্রহীরা ১ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন; বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে ৩৫ বছর।
ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত একযোগে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের এ সময়সীমা ঠিক করে গণবিজ্ঞপ্তি চূড়ান্ত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ।
মঙ্গলবার এ গণবিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার উপপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রহিম খোন্দকার।
সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সোমবার আমরা গণবিজ্ঞপ্তিটি চূড়ান্ত করে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের জন্য তিনটি সংবাদপত্র অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী ২২ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত প্রার্থীরা এ গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করার সুযোগ পাবেন।”
এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তির কপি সোমবার অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে।
এই এক লাখ ৮২২ টি শূন্য পদের মধ্যে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসার ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১১০টি রয়েছে, যার সবগুলোই এমপিওভুক্ত বা সরকারি অংশের বেতনভাতা প্রাপ্য।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটের (http://ngi.teletalk.com.bd) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা।
শিক্ষক হতে নিবন্ধিত একজন প্রার্থী এক আবেদনের মাধ্যমে আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ৪০টি শূন্যপদে পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দের ৪০টি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ না পেলে মেধারভিত্তিতে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ চান কি না সে বিষয়েও মতামত দিতে পারবেন।
গত ১৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নারী প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণের এ বিধান বাতিল ঘোষণা করে।
রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের এ বিজ্ঞপ্তিকে ‘ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যেটির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।
দেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮২৬। এরমধ্যে স্কুল ১৭ হাজার ৬৩৪টি, কলেজ ২ হাজার ৮৬৮টি, মাদ্রাসা ৮ হাজার ২২৯টি এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২২২টি।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষক বা সমপর্যায়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর।
এনটিআরসিএ এ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২৫ সালের ৪ জুন ৩৫ বছর বা এর কম হতে হবে এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে হতে হবে।
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।
পরে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়।
এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
এর আগে গত বছরের ৩১ মার্চ ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক শূন্যপদের নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। যদিও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৫৮৬ প্রার্থী জন নিবন্ধিত প্রার্থী।