অবশেষে ৮ উইকেটে জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (২-১) জিতল বাংলাদেশ।

- আপডেট সময় : ০৫:১৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে ৮ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।
শেখ মেহেদি হাসান ও তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (২-১) জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্য হেসেখেলে ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। স্পিনার তিকশানার করা ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৭ রানে।
প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। বল হাতে যে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ১১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা তাঁর ক্যারিয়ারসেরা।
ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তানজিদ হাসান। ৪৭ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। মেরেছেন ছয়টি ছক্কা।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের ৪৭ বলে এক চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে গড়া ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ২১ বল হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক শ্রীলংকা। এনিয়ে টানা ৯ ম্যাচে টসে হারেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় শ্রীলংকা। পেস বোলার শরিফুল ইসলামের বলে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার কুশাল মেন্ডিস।
এরপর শ্রীলংকা শিবিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন মেহেদি।
ইনিংসের দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও ১১তম ওভারে বল করতে এসে একের পর এক উইকেট তুলে নেন মেহেদি। নিজের করা প্রথম তিন ওভারে মেহেদি সাজঘরে ফেরান শ্রীলংকার তিন অধিনায়ককে।
প্রথমে আউট করেন সাবেক অধিনায়ক কুশাল পেরেরাকে। এরপর আউট করেন তিন বছর পর দলে ফেরা শ্রীলংকার সাবেক আরেক অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমালকে। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শ্রীলংকার বর্তমান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে।
৩ ওভার শেষে ১১ রানে মেহেদি শিকার করেন ৩ উইকেট। এরপর ১১তম ওভারে আউট করেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। তিনি ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ছিলেন। মেহেদির বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে ফেরেন নিশাঙ্কা। তার আগে ৩৯ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করার সুযোগ পান লংকান এই ওপেনার।
দলীয় ৬৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। দলীয় ৮৮ রানে শামিম পাটোয়ারীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। দলীয় ১০৩ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাফরি ভেন্ডারসি।
শেষ দিকে সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩২ রান তুলে শ্রীলংকা। ২৫ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫৪ রান করেও ৭ উইকেটে হেরে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাসের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করে ২২ রানের জয়ে সিরিজে (১-১) সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।